ফের ‘বেসুরো’ রবীন্দ্রনাথ! বিধানসভা ভোটের আগে ‘সিদ্ধান্ত’ জানানোর হুঁশিয়ারি সিঙ্গুরের বিধায়কের
তাঁর সাফ বক্তব্য, গোবিন্দ ধাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁকে তিনি কিছুতেই মেনে নেবেন না।
সিঙ্গুর: নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে রাজ্যে শাসক দলের অস্বস্থি ততই বাড়ছে। ফের ‘বিদ্রোহের’ সুর সিঙ্গুরের (Singur) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের গলায়। মাস দুয়েক আগে হুগলি জেলায় তৃণমূলের নতুন কমিটি গঠন হয়েছিল। তখন রবীন্দ্রনাথ ঘনিষ্ট মহাদেব দাসকে সরিয়ে ব্লক সভাপতির পদে বসানো হয়েছিল হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না ঘনিষ্ট গোবিন্দ ধাড়াকে। তখনই ‘বেসুরো’ শুনিয়েছিল রবীন্দ্রনাথকে। দিয়েছিলেন দলবদলের হুঁশিয়ারিও।
সিঙ্গুরের বিধায়ক অভিযোগ করেছিলেন গোবিন্দ ধাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত। সেই প্রমাণও তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তারপর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন তৃণমূলের রাজ্যস্তরের নেতৃত্বরা। তাঁর দাবি, জল গড়িয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্তও। কিন্তু গতকাল পুনরায় ব্লক সভাপতি পদে বহাল রাখা হয় গোবিন্দ ধাড়াকেই। হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব ব্লক সভাপতি হিসাবে শংসাপত্র তুলে দেন গোবিন্দর হাতে। এরপরই বেঁকে বসলেন রবীন্দ্রনাথ।
সাংবাদিকদের ৪ বারের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ সাফ জানান, সিঙ্গুরে দলের এক শ্রেণির নেতৃত্ব বিভাজনের রাজনীতি করছেন। তা তিনি কখনই মেনে নেবেন না। পাশাপাশি ক্ষোভ উগড়ে দেন জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও। তিনি বলেন, “হুগলি দেলার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সঠিক দায়িত্ব পালন করেননি। বিচার করতে ভুল করেছেন।”
আরও পড়ুন: নগ্ন করে মার, উপড়ে ফেলা হয় নখ, যাদবপুরের ব্যবসায়ী অপহরণে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধেই ‘অভিযোগ’!
অসৎ ব্যক্তিকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে ফের অভিযোগ করেন রবীন্দ্রনাথ। আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত নেন, তার ভিত্তিতেই বিধানসভা ভোটের আগে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর সাফ বক্তব্য, গোবিন্দ ধাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁকে তিনি কিছুতেই মেনে নেবেন না।