Hooghly: কুয়োয় জল তুলতে গিয়ে পড়ে গেলেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে বললেন, ‘চা খাবো’
Hooghly: সঙ্গে-সঙ্গে প্রতিবেশীদের ডেকে জড়ো করেন ওই মহিলা। খবর দেওয়া হয় পান্ডুয়া থানার অন্তর্গত বৈঁচী পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ দমকলে খবর দেয়। পান্ডুয়া থেকে দমকল কর্মীরা মই নিয়ে আসেন। পাতকুয়োয় নেমে দড়ি বেঁধে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন তাঁরা।

হুগলি: জল তুলতে গিয়ে কুয়ো পড়ে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। দড়ি ধরে জলে ভেসে ছিলেন অনেকক্ষণ। দমকল তাঁকে উদ্ধার করে। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে হাসপাতালের বেডে শুয়ে অশীতিপর বৃদ্ধা বললেন, ‘চা খাবো’
হুগলির পান্ডুয়ার বৈঁচীগ্রাম দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা শোভারানি বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স ৮৫। শনিবার দুপুরে গভীর পাতকুয়ো থেকে কপিকল দিয়ে জল তুলতে যান শোভারানি। ব্যাস তখনই ঘটে বিপত্তি। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর ছেলে পরিবার নিয়ে থাকেন কলকাতায়। বৃদ্ধাকে প্রতিবেশী এক মহিলা দেখাশোনা করেন, খাবার দেন। জানা গিয়েছে, সেই মহিলা শোভারানিকে খাবার খাইয়ে নিজে বাড়িতে গিয়েছিলেন খাবার খেতে। এরপর এসে বৃদ্ধাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তারপর পাতকুয়োয় উঁকি মেরে দেখেন সেখানেই পড়ে রয়েছেন তিনি।
সঙ্গে-সঙ্গে প্রতিবেশীদের ডেকে জড়ো করেন ওই মহিলা। খবর দেওয়া হয় পান্ডুয়া থানার অন্তর্গত বৈঁচী পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ দমকলে খবর দেয়। পান্ডুয়া থেকে দমকল কর্মীরা মই নিয়ে আসেন। পাতকুয়োয় নেমে দড়ি বেঁধে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন তাঁরা। বস্তুত, পাতকুয়োয় জল অল্প ছিল। তবে বৃদ্ধা বুদ্ধি করে কপি কলের দড়ি ধরে ভেসে ছিলেন। বর্তমানে তিনি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানেই বেডে শুয়ে আয়া দিদিদের কাছে চা খেতে চেয়েছেন।
বৃদ্ধাকে দেখাশোনা করেন প্রতিবেশী বর্ণালী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দিদিমাকে ভাত খাইয়ে দিই। আমাকে বলল তুই বাড়ি থেকে খেয়ে আয়। আমি বাড়ি থেকে খেয়ে আসতে যেটুকু সময়।এসে দেখি এই কান্ড।তারপর পাড়া-প্রতিবেশীদের ডাকি।”





