AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly News: হুগলিতে একসঙ্গে ৯০০ জনের নাম উধাও ভোটার তালিকা থেকে!

SIR: এক গ্রামবাসী বলেন, "আমরা এখানে জন্মেছি, বড় হয়েছি। কর দিয়েছি, ভোট দিয়েছি। আজ হঠাৎ করে জানানো হচ্ছে আমাদের নাম তালিকায় নেই শেষ এসআইআর এ। তাহলে আমরা কারা?" তিনি আরও বলেন, "ওয়েবসাইট খুললে ২০০৩ সালের লিস্ট দেখাচ্ছে, কিন্তু যেখানে নির্বাচন কমিশন বলেছে ২০০২ সালের লিস্টই চূড়ান্ত। আমরা কোনটা বিশ্বাস করব?"

Hooghly News: হুগলিতে একসঙ্গে ৯০০ জনের নাম উধাও ভোটার তালিকা থেকে!
বাদ গেল নামImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2025 | 9:15 PM
Share

হুগলি: আবার এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে উঠল অভিযোগ। হুগলির বলাগড়ে পোতাগাছির একটা বুথের প্রায় সবার নাম উধাও বলে দাবি। এই ঘটনার পরই এসআইআর-এ নাম বাদ যাবার আশঙ্কায় ভোটাররা।ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বলাগড়ের একতারপুর পঞ্চায়েতের পোতাগাছি গ্রামে। সেখানেই প্রায় ৯০০ মানুষের নাম নেই বলে দাবি ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে।

কী ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, হুগলি জেলার বলাগড় ব্লকের একতারপুর পঞ্চায়েতের পোতাগাছি গ্রামের এই বাসিন্দাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই। অভিযোগ,অথচ কমিশনের ওয়েবসাইটে তথ্য যাচাই করতে গেলে তাঁদের ২০০৩ সালের ভোটার লিস্টে নাম দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে। মানুষদের দাবি, তাঁরা বহু বছর ধরে এই এলাকার বাসিন্দা। সকলের কাছেই রয়েছে আধার কার্ড, রেশন কার্ড, জমির দলিল, ভোটার আইডি। তবুও, ২০০২ সালের লিস্টে নাম না থাকায় তাঁদের এসআইআর-এ নাম ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাঁরা এও দাবি করেছেন, ২০০২ সালের আগে পরে তারা ভোট দিয়েছেন।

এক গ্রামবাসী বলেন, “আমরা এখানে জন্মেছি, বড় হয়েছি। কর দিয়েছি, ভোট দিয়েছি। আজ হঠাৎ করে জানানো হচ্ছে আমাদের নাম তালিকায় নেই শেষ এসআইআর এ। তাহলে আমরা কারা?” তিনি আরও বলেন, “ওয়েবসাইট খুললে ২০০৩ সালের লিস্ট দেখাচ্ছে, কিন্তু যেখানে নির্বাচন কমিশন বলেছে ২০০২ সালের লিস্টই চূড়ান্ত। আমরা কোনটা বিশ্বাস করব?”

এখানে উল্লেখ্য, এর আগে বলাগড় ব্লকের বাকুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করিন্যা গ্রামে প্রায় দেড় হাজার মানুষের নাম ২০০২ সালের তালিকায় ছিল না। সেই কারণে দুশ্চিন্তা বেড়েছিল। এবার একই ধরনের সমস্যায় নাজেহাল পোতাগাছির বাসিন্দারা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বেশ কিছু জায়গায় এ ধরনের বিভ্রাট ধরা পড়েছে। যা পরীক্ষা করে দেখছে নির্বাচন কমিশনের দফতর। এ দিকে, এতজন ভোটারের নাম উধাও হওয়ার পর থেকে গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ব্লক অফিসে ভিড় করছেন। কেউ আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন, কেউ আবার স্থানীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দলের তরফ থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে কারোর নাম এসআইআরএ বাদ যাবে না। যদি কেউ ভোট দিয়ে থাকেন, তিনি আগামী দিনেও ভোট দিতে পারবেন।সেই কারণেই আমরা এসআইআর-এর শিবির করেছি। সেখানে যাচ্ছি মানুষকে বোঝাচ্ছি। কোনও মানুষ যাতে বঞ্চিত না হন, প্রতিটি মানুষ যাতে ভোট দেওয়ার অধিকার পান সেই চেষ্টাই দল করছে।”