AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: বিছানাজুড়ে রক্ত, মেয়ে-জামাইয়ের ঘরের দরজা খুলেই আঁতকে উঠলেন মহিলা

Hooghly: বছর চল্লিশের কাশীনাথ একটি কারখানায় কাজ করেন। বছর দশেক আগে পায়েলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দুই কন্যা। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, এদিন সকালে রুমে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা।

Hooghly: বিছানাজুড়ে রক্ত, মেয়ে-জামাইয়ের ঘরের দরজা খুলেই আঁতকে উঠলেন মহিলা
খুনের কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2025 | 11:31 AM

হুগলি: ঘরময় রক্ত। বিছানায় পড়ে যুবতী ও তাঁর মেয়ের দেহ। পাশেই কাতরাচ্ছেন যুবতীর স্বামী। সাতসকালে রুমে এই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলেন বাড়ির লোকেরা। ঘটনাটি হুগলির উত্তরপাড়ার। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। মৃতদের নাম অদ্রিজা চট্টোপাধ্যায় (৪) ও পায়েল চট্টোপাধ্যায় (২৫)।

হিন্দমোটর ভদ্রকালী এলাকার একটি বাড়ি থেকে এদিন রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে অদ্রিজা ও পায়েলকে মৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পায়েলের স্বামী কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়কে গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

বছর চল্লিশের কাশীনাথ একটি কারখানায় কাজ করেন। বছর দশেক আগে পায়েলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দুই কন্যা। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, এদিন সকালে রুমে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। খবর পেয়ে আসে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।

এই খবরটিও পড়ুন

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ফল কাটার ছুরি দিয়ে নিজের চার বছরের মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করেন কাশীনাথ। তারপর নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। কাশীনাথের বছর সাতেকের বড় মেয়ে গতকাল রাতে পাশের রুমে দিদিমার কাছে ঘুমিয়েছিল। সেই কারণে সে বেঁচে গিয়েছে বলে অনুমান পুলিশ। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা কি না, তা তদন্ত করে দেখছে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ।

পায়েলের মা বলেন, “আমার বড় নাতনি আমার কাছে ঘুমোয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ জামাই আমায় ডাকে। এদিন সাড়ে সাতটা পেরিয়ে গেলেও ডাকেনি। তখন আমি ওদের ঘরে গিয়ে দেখি, তিনজন পড়ে রয়েছে।” তিনি জানান, দরজাটা শুধু বন্ধ ছিল। ঠেলতেই খুলে যায়।