
সুশোভন ভট্টাচার্য, আব্দুল আজিজ ও আশিক ইনশানের রিপোর্ট
কোন্নগর ও কলকাতা: কোন্নগর কানাইপুরে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপের পর কোপ দুষ্কৃতীদের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হল না। SSKM হাসপাতলে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত তৃণমূল নেতার নাম পিন্টু চক্রবর্তী! সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার সময় কিছু দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়! ধারাল অস্ত্রে নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মেরে পালিয়ে যায় ! এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান! সেখান থেকে কলকাতায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় কানাইপুর অটো স্ট্যান্ডে। পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্নার এলাকায় যথেষ্ট নামডাক ছিল বলে জানা যাচ্ছে। পঞ্চায়েতেও তাঁর কথা সকলেই মেনে চলতো। আগের প্রধান আচ্ছেলাল যাদবের কাছের লোক ছিল মুন্না। যদিও বর্তমানে আচ্ছেলালের থেকে দলের দুরত্ব বেড়েছে বলে খবর। কিন্তু, কারা তাঁকে এভাবে খুন করে চলে গেল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান কানাইপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভবেশ ঘোষ সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা। আগেই গিয়েছিলেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীও। যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে সেই রাস্তা খোদ পরিবহণ মন্ত্রীর যাতায়াতের রাস্তা। ফলে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে জোরাল প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে আলোও অনেক কম। ওই জায়গা থেকে আবার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একটি মদের দোকানও আছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে কী বের হয়।