SIR in Bengal: ‘আধার কার্ডেই হবে! আইনজীবীরা মরে যায়নি তো…’, বড় দাবি বিকাশরঞ্জনের

Bikash Ranjan Bhattacharya: আধার কার্ড নিয়ে শুধু 'আত্মবিশ্বাসই' নয়, হুঁশিয়ারির সুরও বজায় রেখেছেন বিকাশরঞ্জন। তাঁর সাফ কথা, 'আধার কার্ডেই কাজ হবে। আর তারপরেও কারওর যদি নাম বাদ যায়, তা হলে রাজ্যের আইনজীবীরা তো সব মরে যায়নি।' অর্থাৎ প্রয়োজন পড়লে কমিশনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা আইনজীবী তথা সিপিআইএম সাংসদের।

SIR in Bengal: আধার কার্ডেই হবে! আইনজীবীরা মরে যায়নি তো..., বড় দাবি বিকাশরঞ্জনের
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Nov 09, 2025 | 12:03 AM

হুগলি: ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনও সম্পর্ক নেই। সাফ কথা সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। পাশাপাশি, আধার কার্ডের ভিত্তিতেই এসআইআর হবে বলে দাবি বাম নেতার। শনিবার হুগলির ত্রিবেণীতে নভেম্বর বিপ্লবের সভায় যোগ দিয়েছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসআইআর-এ আধার কার্ডকে মান্যতা দেওয়ার প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন তিনি।

বিহারের ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন পর্বে সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল এই আধার কার্ড প্রসঙ্গ। বলা চলে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে দেশের নির্বাচন কমিশন আধার কার্ডকে ১২তম নথি হিসাবে SIR প্রক্রিয়ায় জুড়েছে। কিন্তু আধার কার্ডকে অন্তর্ভুক্তির পর্বে তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই কার্ড কোনও নাগরিক প্রমাণ নয়, বরং পরিচয় প্রমাণ মাত্র। অবশ্য বিকাশবাবুর মতে, ‘কে বলেছে আধার কার্ড হবে না? ওটাতেই হবে। বিহারে SIR বুমেরাং হয়ে গিয়েছে। তাই তো বাংলায় বলছে, ফর্ম ফিল-আপের সময় কোনও নথি লাগবে না। আরও যদি চাপ তৈরি করা যায়, কমিশন বলবে আধার কার্ডেই হবে।’

আধার কার্ড নিয়ে শুধু ‘আত্মবিশ্বাসই’ নয়, হুঁশিয়ারির সুরও বজায় রেখেছেন বিকাশরঞ্জন। তাঁর সাফ কথা, ‘আধার কার্ডেই কাজ হবে। আর তারপরেও কারওর যদি নাম বাদ যায়, তা হলে রাজ্যের আইনজীবীরা তো সব মরে যায়নি।’ অর্থাৎ প্রয়োজন পড়লে কমিশনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা আইনজীবী তথা সিপিআইএম সাংসদের।

রাজ্যে এসআইআর নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন ‘আতঙ্ক’। একের পর এক মৃত্যুর সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন প্রসঙ্গ। যা ঘিরে সুর চড়িয়েছে শাসকদলও। অবশ্য গেরুয়া শিবিরের দাবি, কেউ ক্যান্সারে মরলেও তৃণমূল ‘এসআইআর তত্ত্ব’ জুড়ে দিচ্ছে। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের মত খানিকটা সেরকম। প্রশাসনের দিকে দায় ঠেলে দিলেন তিনি। সাংসদের কথায়, ‘প্রশাসনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা আত্মহত্যাকে উৎসাহিত করছেন। মানুষের সমস্যার কথা বলছে না। এটা একটা মানবতাবিরোধী কাজ। মানুষকে এসআইআর নিয়ে সচেতন করতে হবে। তাঁদের মনে ভরসা তৈরি করতে হবে। জনসাধারণকে বোঝাতে হবে এটার সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনও সম্পর্ক নেই।’