Murder Case: আদালতেই খুন সাক্ষীকে, ১২ বছর পর দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Murder Case: অভিযোগ, যেদিন আদালতে এসেছিলেন সোমনাথ, সেদিন সেখানেই তাঁকে প্রকাশ্যে গুলি করে আরশাদ। সোমনাথকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল এই ঘটনা।

Murder Case: আদালতেই খুন সাক্ষীকে, ১২ বছর পর দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বড় রায় আদালতেরImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2023 | 7:30 PM

চন্দননগর: সালটা ২০১১। ওই বছর এক হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী ছিল চন্দননগর আদালত। ভরা আদালতে শুনানি চলাকালীন এক সাক্ষীকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। সে ঘটনায় অভিযুক্ত আরশাদ শেখকে এদিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল চন্দননগর আদালত। আরশাদের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। থাকতেন সিঙ্গুরের নসিবপুরে। সেখানে এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু, সেই যুবতীকে বিয়ে করেন সোমনাথ কোলে বলে এক যুবক। তাতেই রাগে ফুঁসতে থাকেন আরশাদ। 

অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যুবতীকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকেন আরশাদ। একদিন রাস্তায় একা পেয়ে মারধরও করেন। ঘটনায় সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ও ৩২৬ ধারায় চলে মামলা। সেই মামলার শুনানিতেই চন্দনগর আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেন সোমনাথ। 

অভিযোগ, যেদিন আদালতে এসেছিলেন সোমনাথ, সেদিন সেখানেই তাঁকে প্রকাশ্যে গুলি করে আরশাদ। সোমনাথকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল এই ঘটনা। আরশাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল পিস্তল। উদ্ধার হয় দুই রাউন্ড গুলিও। এই ঘটনায় যাবতীয় ফরেন্সিক রিপোর্ট, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও ১৪ জন সাক্ষীর বক্তব্য শোনার পর আরশাদকে দোষী সাব্যস্ত করে চন্দননগরের ফাস্ট ট্রাক আদালত। এদিন আরশাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়।