Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Post Office: পোস্ট অফিসে টাকা রেখেছিলেন, কপালে হাত দিয়ে বসে একের পর এক গ্রাহক

Hooghly: মাড়োখানা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার দীপক বাগ। তাঁর বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন উপভোক্তারা। ইতিমধ্যেই স্থানীয় গ্রাহকরা জানান, ডাক বিভাগে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় গ্রাহকদের কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। মাড়োখানার পোস্ট মাস্টারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন গ্রাহকদের।

Post Office: পোস্ট অফিসে টাকা রেখেছিলেন, কপালে হাত দিয়ে বসে একের পর এক গ্রাহক
পোস্ট অফিসের সামনে ভিড়। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 04, 2024 | 6:07 PM

আরামবাগ: পোস্ট অফিসে টাকা রেখেছিলেন। সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল এবার। খানাকুলের মাড়োখানা এলাকায় এই অভিযোগ ঘিরে চাপানউতর শুরু হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, পোস্ট মাস্টারের ব্যবহার খারাপ। একের পর এক গ্রাহক পোস্ট অফিস থেকে সেভিংস-এর বই পাননি। বলতে গেলে ফিরিয়ে দিয়েছেন। যদিও মাড়োানার পোস্ট মাস্টার এই অভিযোগ মানতে নারাজ।

মাড়োখানা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার দীপক বাগ। তাঁর বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন উপভোক্তারা। ইতিমধ্যেই স্থানীয় গ্রাহকরা জানান, ডাক বিভাগে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় গ্রাহকদের কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। মাড়োখানার পোস্ট মাস্টারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন গ্রাহকদের।

গ্রাহকদের পোস্ট অফিসে গচ্ছিত রাখা টাকা তোলার অভিযোগের পাশাপাশি ফিক্সড ডিপোজিটের টাকাও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ডাক বিভাগের বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে।

এক গ্রাহক মধুমিতা সাঁতরার কথায়, “আমার ছেলে সই করে দিয়েছিল। বলেছিল আমাকে সুদের ১৪ হাজার টাকা তুলে নিতে এবং বইটা পোস্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিতে। ১৫ দিন ঘোরানোর পর ১৪ হাজার টাকা দেয়। ২ লক্ষ টাকা ফিক্সড করতে দিয়েছিলাম। ১ মাস ধরে ঘোরাচ্ছে বই দিচ্ছে না। রোজ আজ নয় কাল করছেন পোস্ট মাস্টার। আমার ছেলে নেপালে থাকে। পোস্ট মাস্টার বলছিলেন ছেলে না এলে টাকা দেবেন না। ছেলেকে অত দূর থেকে পর্যন্ত এনেছি। এরপর কি না বলেন টাকা তোলা হয়ে গিয়েছে। ছেলে তো শুনে অবাক। পোস্ট মাস্টার শুনে বলছেন যা পারেন করে নিন।”

আরেক গ্রাহক প্রতিমা শী বলেন, “আমার মেয়ে বাইরে থাকে। আমাকে সেভিংস-এর বই করে দিয়েছিল। বলেছিল যা টাকা পাঠাব সেভিংস-এর বইয়ে রেখে দেবে। আমিও সেই মতো রেখে দিই। চারানা পয়সা তুলিনি। কিন্তু বই দেয় না পোস্ট মাস্টার। কখনও বলছে বই হারিয়ে গিয়েছে, কখনও বলছে অন্য পোস্ট অফিসের ব্যাগে চলে গিয়েছে।” এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত পোস্ট মাস্টার দীপক বাগ বলেন, “এরকম কিছুই ঘটেনি। ওনারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তাঁরাও এসেছেন। ওনারা দেখছেন খতিয়ে সবটা। যার যা অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে জানাক। খতিয়ে সবটাই দৈখা হবে।”