Bank Fraud: লেনদেনের সমস্যায় ব্যাঙ্কেরই ‘কাস্টমার কেয়ারে’ ফোন, প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মীর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ২ লক্ষ টাকা!
Customer Care: স্নেহাশিস ফোন করতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর থেকে নানা তথ্য় জেনে নেয়। এমনকী, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর থেকে ওটিপি সবটাই হস্তগত করে। তারপর তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ফোনে একটি ওটিপি গেলে সেই ওটিপির সংখ্যাটি বলতে হবে
হুগলি: মুদিখানা দোকানে ধারবাকি ছিল ৭ হাজার টাকা। সেই টাকা অনলাইনে মেটাতে গিয়েছিলেন এক প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী। কিন্তু টাকা পাঠালেও তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কোনওভাবেই লেনদেন (Online transaction) সম্পূর্ণ হচ্ছিল না। কী করবেন বুঝতে না পেরে ব্যঙ্কেরই কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই বিপত্তি। অ্যাকাউন্ট থেকে এক ধাক্কায় উড়ে গেল ২ লক্ষ টাকা! এমন পরিণতি দেখে মাথায় হাত প্রতারিত প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী স্নেহাশিস ঘোষের।
ঠিক কী অভিযোগ স্নেহাশিসবাবুর? উত্তরপাড়ার মাখলার বাসিন্দা স্নেহাশিসবাবু পেশায় প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী। পাড়ারই মুদিখানা দোকান থেকে কেনাকাটার পর বেশ কিছু টাকা বাকি থেকে গিয়েছিল তাঁর। বাকি থাকা সেই ৭ হাজার টাকা অনলাইনেই পাঠাতে গিয়েছিলেন স্নেহাশিস। কিন্তু টাকা কেটে নিলেও লেনদেন সম্পূর্ণ হয়নি। কী করবেন বুঝতে না পেরে গুগলে ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারের নম্বর সার্চ করে তাতেই ফোন করেন তিনি।
স্নেহাশিস ফোন করতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর থেকে নানা তথ্য় জেনে নেয়। এমনকী, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর থেকে ওটিপি সবটাই হস্তগত করে। তারপর তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ফোনে একটি ওটিপি গেলে সেই ওটিপির সংখ্যাটি বলতে হবে। সেইমতো স্নেহাশিস ওটিপি নম্বর পান। সেটি বলেও দেন দুষ্কৃতীদের। তখনও বোঝেননি প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়েছেন তিনি। তারপরেই ওই প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী দেখেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়েছে ২ লক্ষ টাকা।
স্নেহাশিসের কথায়, ‘‘পাড়ার দোকানে সাত হাজার টাকা বাকি ছিল। আমি দোকানদারকে অনলাইনে পেমেন্ট করি। কিন্তু তা সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। আমি গুগল সার্চ করে কাস্টমার কেয়ারের নম্বর নিয়ে ফোন করি। ওরা ফোনে আমার সমস্ত তথ্য জেনে নেয়। তার পর অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেয় দু’লক্ষেরও বেশি টাকা। এমনটা হবে বুঝতে পারিনি।’’
বিষয়টি নিয়ে চন্দনননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার অপরাধ বিভাগে অভিযোগ জানিয়েছেন স্নেহাশিস। কোন কোন অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে তা জানতে পারা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতারিত। সমস্ত তথ্য নিয়েই পুলিশের কাছে সেসব জমা করেছেন তিনি। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা ঢুকেছে সেগুলির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কারা কারা এই ঘটনায় জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Daspur Drainage system: খাল কেটে কুমির এনেছে দাসপুর! সেচ দফতরের গাফিলতির জেরে জমির পর জমি বন্ধ্যা