
হুগলি: সেই ২০০১ সালে প্রকল্পের শিলান্যাস। তারপর থেকে এখনও (২০২৫) অবধি কাজ শুরু হয়নি। শেষে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে কাটে জট। অবশেষে ভাবাদিঘিতে কাজ শুরু করল রেল দফতর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভাবাদিঘিতে পুলিশ মোতায়ন করে কাজ শুরু করল রেল।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ ছিল, দ্রুত এই কাজ শুরু করতে হবে। কোনও বিক্ষোভ বরদাস্ত করা যাবে না। প্রয়োজনে পুলিশ-প্রশাসন সহায়তা করতে হবে রেলকে। কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর আজ সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন সেখানে। পেলোডার লাগিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারকেশ্বর-বিষ্ণপুর রেলপ্রকল্পের সূচনা করেছিল। হয় শিলান্যাসও। এই রেল প্রকল্প চালু হলে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সঙ্গে হাওড়ার দূরত্ব অনেকটাই কমবে। ফলত, সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ধাপে ধাপে শুরু হয় রেল প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ ও পরবর্তীতে মাটি ফেলার কাজ। কিন্তু বাধ সাধল ভাবাদিঘিতে এসে। কারণ এই দিঘির উপর নির্ভর করে আশপাশের অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা চলে। তাঁরা কোনওভাবেই দিঘি বুজিয়ে ট্রেন চালানোর পক্ষপাতী নন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দিঘির উপর ব্রিজ তৈরি হবে। তারপর চলবে ট্রেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের স্পষ্ট নির্দেশ, আড়াই লক্ষ মানুষের স্বার্থে আঘাত দেওয়া যাবে না। আদালতের নির্দেশ মেনে এবার এত বছর পর শুরু এই রেল প্রজেক্টের কাজ।