Hooghly: পুলিশকে জুতো ছুড়ে মেরে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী
Hooghly: প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর জেলা শাসক অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। হুগলি জেলা শাসক দফতর ঘেরাও করতে যৌথ ভাবে অভিযান করে হুগলি ও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা কর্মীরা। মিছিল করে ঘড়ির মোড়ে এসে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বিজেপি।
হুগলি: পুলিশকে জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন। গ্রেফতার হুগলির শ্রীরামপুরের সেই বিজেপি নেত্রী। তাঁকে নিয়ে মহিলা থানায় হাজির হন বিজেপি নেতৃত্ব। হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার জানান,”সেদিন অনেকেই বিক্ষোভে ছিল। তাহলে পম্পাকে কেন গ্রেফতার করা হল। আমরা আইনি লড়াই লড়ব।” বিজেপির দাবি, শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছিল। ন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পুলিশের কাজে বাধা,বেআইনি জমায়েত,বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জরো হওয়া সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।ধৃত নেত্রীকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর জেলা শাসক অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। হুগলি জেলা শাসক দফতর ঘেরাও করতে যৌথ ভাবে অভিযান করে হুগলি ও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা কর্মীরা। মিছিল করে ঘড়ির মোড়ে এসে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বিজেপি। ব্যারিকেডে আটকে দেওয়া হয় বিক্ষোভ মিছিল। সেখানেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। ব্যারিকেড ভাঙতে না পেরে পুলিশি বাধার মুখে পরে বিজেপি নেত্রী পম্পা অধিকারীকে দেখা যায় জুতো হাতে তুলে পুলিশকে দেখাতে। এরপর সেই জুতো পুলিশের ভিড়ে ছুঁড়ে মারেন। পম্পা বিজেপি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পদে রয়েছেন।
রিষড়া তিন নম্বর জল ট্যাঙ্ক এলাকায় বাড়ি বিজেপি নেত্রীর। তাঁর স্বামী বলাই অধিকারী জানান,”আজ ভোরে পুলিশের তিনটে গাড়ি আসে। প্রচুর পুলিশ গিয়ে পম্পাকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারেন চুঁচুড়া মহিলা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।”