
হিন্দমোটর: তাঁকে ঘিরে জল্পনার শেষ নেই। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করে ফেরার পরও দিলীপ ঘোষকে নিয়ে জল্পনা থামছে না। রাত পোহালেই একুশে জুলাই। তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ হবে ধর্মতলায়। ওইদিন দিলীপ ঘোষ কী করবেন, তা নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে। আর স্বয়ং দিলীপ ঘোষ কী বলছেন? রবিবার হুগলির হিন্দমোটরে মহা রুদ্রাভিষেক যজ্ঞে যোগ দিতে এসে হেঁয়ালি বজায় রেখে দিলীপ ঘোষ বললেন, “অপেক্ষা করুন। কিছু তো হবে।”
শ্রাবণ মাসকে মহাদেবের জন্ম মাস হিসেবে ধরা হয়। এদিন হিন্দমোটর বিড়লা চৌরাস্তায় মহা রুদ্রাভিষেক যজ্ঞ হয়। সেখানেই আমন্ত্রিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। আর এই ষজ্ঞে যোগ দিতে এসে খোশমেজাজে দেখা গেল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। কপালে তিলক। হাতে ডমরু। তবে শুধু ডমরু হাতে রাখলেন না। ডমরু বাজিয়ে সবাইকে তাক লাগালেন।
২ দিন আগে দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় তাঁকে দেখা যায়নি। দিল্লি গিয়েছিলেন। মোদীর সভায় না থাকা নিয়ে এদিন দিলীপ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভা আবার হবে। একটা সভায় না গেলেও অসুবিধা নেই। সব সভায় সবার যাওয়ার প্রয়োজনও নেই। আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতির ডাকে দিল্লি গিয়েছিলাম।”
তাঁকে ঘিরে এত জল্পনা। দিলীপ ঘোষ কি ফ্যাক্টর? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, “দিলীপ ঘোষ, দিলীপ ঘোষই। ফ্যাক্টর কি না সেটা আপনারা বলবেন। দিলীপ ঘোষ সবার সঙ্গে রুদ্রাভিষেক করছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমি আছি।”
তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দিলীপ ঘোষকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছে। এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কাল কোনও বড় সারপ্রাইজ হবে কি? দিলীপও স্পষ্ট করে তাঁর অবস্থান জানালেন না। বললেন, “অপেক্ষা করুন, কিছু তো হবে।” রাত পোহালেই তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ। ফলে দিলীপকে নিয়ে জল্পনার অবসানের জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।