হুগলি : আসানসোল, বালিগঞ্জ… দুই জায়গাতেই ভোটে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে পদ্ম শিবিরের। কিন্তু রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এর জন্য সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করতে নারাজ। তাঁর সুরেই এবার কথা বললেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বললেন, “উপনির্বাচনে পরাজয় হয়েছে সন্ত্রাসের কারণে। মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় আরও ২৫ টি আসন পাবে বিজেপি।” তাঁর বক্তব্য, “উপ নির্বাচনে রাজ্য সরকারের হাতে সব কিছু ছিল। মানুষকে ভোট দিতে বেরোতে দেওয়া হয়নি। তারই বহিঃপ্রকাশ হয়েছে ফলাফলে।”
শনিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বাঁশবেড়িয়া কলবাজারে এক র্যালিতে অংশ নেন বিজেপি সাংসদ। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তরবারি হাতে ব়্যালিতে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, র্যালি শুরু হওয়ার আগে হনুমান জয়ন্তীতে যোগ দিতে আসা কয়েকজনের কাছ থেকে তরবারি কেড়ে নেয় পুলিশ। সেই প্রসঙ্গে লকেট বলেন, “ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কেউ মারপিট করেনি, তাঁরা উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন। পুলিশ এখানে সক্রিয়তা না দেখিয়ে মহিলাদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে তা আটকাতে সক্রিয় হলে বাংলার লাভ হত। মহিলারা বাঁচত।” এই প্রসঙ্গে সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, “ওনার (লকেট) তো পাত্তাই পাওয়া যায় না। তাঁকে সাংসদ করেছে আমজনতা,তবে তাঁর দেখা পাই না। কেউ যদি উদ্দামতা করে, পুলিশ তার ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জামানত জব্দ হয়েছে বিজেপির। যদিও বালিগঞ্জের এই হারের পর বিজেপি নেতাদের অনেকেই বলছেন, তারা বালিগঞ্জে কোনওদিনই সেভাবে লড়াইয়ে ছিলেন না। এমনকী বঙ্গ বিজেপির সভাপতির মুখেও শোনা যায়, ওখানে তো ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু। তাই সেখানে জেতার কোনও আশা নেই বিজেপির। কিন্তু আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের লড়াইয়েও ভরাডুবি হয়েছে পদ্মের। আসানসোলে বিজেপির টিকিটে লড়ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল। যিনি কয়েকমাস আগেই আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তারপর আসানসোলের প্রাক্তন নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি রয়েছেন, দক্ষ সংগঠক হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে তাঁর রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু তারপরও এই ফলাফলের পর প্রথম সারির নেতাদের অনেকেই ভরাডুবির ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এবার হুগলির সাংসদও বললেন, মানুষ ভোট দিতে বেরোতে পারেননি, তারই প্রভাব পড়েছে ভোটের ফলাফলে।
আরও পড়ুন : Ghatal Job Fare: ঘাটালে রাজ্য সরকারের কর্মসংস্থান মেলা, চাকরি দেওয়া হবে ২০০০ বেকারকে