AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BSF: ‘সবাই আসছেন, আশ্বাস দিচ্ছেন, ছেলে কোথায় কেউ বলছেন না’, আফসোস পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি পুর্নমের বাবার

BSF: পুর্নমের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর এক ছেলেও রয়েছে। স্বামীর খোঁজ আনতে ছেলেকে নিয়েই পাঠানকোট যাচ্ছেন পুর্নমের স্ত্রী রজনী । তিনি বললেন, "আমরা এখনও কেন্দ্র থেকে কোনও খবর পাইনি।

BSF: 'সবাই আসছেন, আশ্বাস দিচ্ছেন, ছেলে কোথায় কেউ বলছেন না', আফসোস পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি পুর্নমের বাবার
ডান দিকে পুর্নমের বাবা, বাঁ দিকে, পুর্নমের স্ত্রীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 28, 2025 | 12:03 PM
Share

হুগলি: পাঁচ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি বিএসএফ জওয়ান পুর্নম কুমার সাউ। ভুল করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে পাক সেনার হাতে বন্দি বিএসএফ জওয়ান। উৎকন্ঠায় দিন কাটছে পরিবারের। নেতারা আসছেন-যাচ্ছে, আশ্বাস দিচ্ছেন, বিএসএফের প্রতিনিধি দলও এসেছে, কিন্তু পুর্নম কোথায়, সেটাই বলছেন না কেউ! আফসোস পুর্নমের পরিবারের। TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে সেকথা বললেন পুর্নমের বাবা ভোলানাথ সাউ। তিনি বললেন, “আমার ছেলের কোনও খবরই আসছে না। সবাই আসছে, আশ্বাসও দিয়ে যাচ্ছে, সবাই বলছে, ছেলে ভাল আছে, ছেলে আসবে, ব্যস এটাই… কিন্তু যে তো পাকিস্তানের আন্ডারে, কোথায় আছে, সেটা আর বলছে না। বিএসএফের লোক এসেছিল, ওরাও আমাদের কিছু বলল না, বলল আপনার ছেলে ভাল আছে, আমাদের কাছে সে তথ্য আছে।”

পুর্নমের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর এক ছেলেও রয়েছে। স্বামীর খোঁজ আনতে ছেলেকে নিয়েই পাঠানকোট যাচ্ছেন পুর্নমের স্ত্রী রজনী । তিনি বললেন, “আমরা এখনও কেন্দ্র থেকে কোনও খবর পাইনি। স্যররা বলছেন, কাজ চলছে। ওনারা আমাকে সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছেন। আজ ৭ দিন হয়ে গেল, আর আস্থা রাখতে পারছি না। আমরা চার জন যাচ্ছি। আমার বাচ্চাও যাচ্ছে। চণ্ডীগড় যাব, সেখান থেকে ফিরোজপুর, যদি ফিরোজপুরে কাজ না হয়, তাহলে কাংড়া (হিমাচলপ্রদেশ) হেল অফিস যাব, সেখানেও না হলে দিল্লি হেড অফিস যাব। আমার মন চাইছে না। সিইও স্যরের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাইছি।”

রবিবার সকালে বিএসএফ এর আট সদস্যের একটি দল জওয়ানের রিষড়ার বাড়িতে আসে। তারা পূর্ণমের পরিবারের কথা বলেন। মিনিট পনেরো কথা বলার পর তাঁরা বেরিয়ে যান।পূর্ণমের মুক্তির জন্য পুজো দিয়ে পুজোর ডালা নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা।