রাগে দু’দিন আগে নির্দলে দাঁড়াচ্ছিলেন, আজই বিজেপি প্রার্থীকে পাশে বসিয়ে বললেন ‘একসঙ্গে লড়ব’

সিঙ্গুরের মাস্টারমশাইয়ের পর এবার খানিক স্বস্তি উত্তরপাড়ার বিজেপি (BJP) প্রার্থী প্রবীর ঘোষালের।

রাগে দু'দিন আগে নির্দলে দাঁড়াচ্ছিলেন, আজই বিজেপি প্রার্থীকে পাশে বসিয়ে বললেন 'একসঙ্গে লড়ব'
প্রবীর ঘোষালকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের।
Follow Us:
| Updated on: Mar 22, 2021 | 7:57 PM

হুগলি: প্রবীর ঘোষালকে (Prabir Ghoshal) পাশে বসিয়েই প্রার্থী হতে না পারার খেদ খানিকটা ঢেলে দিলেন উত্তরপাড়ার বিজেপি নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য। তবে কিছুদিন আগে নির্দলের হয়ে লড়ার যে হুমকি দিয়েছিলেন, আপাতত তা প্রত্যাহার করলেন তিনি। বললেন, লক্ষ্য বিজেপিকে জেতানো। তাই সকলে একসঙ্গেই এই ভোটের ময়দানে লড়াই করবেন।

সিঙ্গুরের মাস্টারমশাইয়ের পর এবার খানিক স্বস্তি উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষালের। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থীপদ পান সিঙ্গুরের রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, উত্তরপাড়ার প্রবীর ঘোষালরা। যা নিয়ে প্রথমদিকে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ বাড়লেও পরে তারা তা মেনে নেন। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রেও এ ছবি দেখা গিয়েছে। এবার দেখা গেল প্রবীর ঘোষালের ক্ষেত্রেও।

উত্তরপাড়ার বিজেপি নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যকে প্রার্থী না করে প্রার্থী করা হয় তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রবীর ঘোষালকে। তারপরই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নেত্রী। তিনি সোজা জানিয়ে দেন, নির্দলের হয়ে উত্তরপাড়া থেকে ভোটে লড়বেন।

আরও পড়ুন: ফের বঙ্গে চোখ রাঙানি করোনার! সংক্রমণ ঠেকাতে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মুখ্যসচিব

সোমবার তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরইমধ্যে মন বদলের সিদ্ধান্ত জানান কৃষ্ণা। বিকেলে কোন্নগরে নিজের বাড়িতে রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সব বিতর্কের অবসান ঘটান। সাংবাদিকরা গিয়ে দেখেন, কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের পাশে বসে রয়েছেন খোদ প্রবীর ঘোষাল। উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থীকে পাশে বসিয়েই কৃষ্ণা বলেন, “আমাদের রাজ্য নেতৃত্ব, জেলা নেতৃত্ব বারবার আমাকে বলেন আমাদের লক্ষ্য পদ্মফুলকে জেতানো। আর তা ছাড়া ভুল ত্রুটি তো কেন্দ্র করেছে, রাজ্য করেছে। বুঝে বা না বুঝে করেছে। সবকিছু মেনে নিয়েও একটা মানুষের জন্য দেওয়াল লেখা হয়ে গিয়েছে। তা মুছে আমি আমার নাম লিখব, তাই ভাবলাম দলকে রক্ষা করাই এখন ধর্ম। প্রবীরদাও আমার কাছে এসেছেন। তাই এক জোট হয়ে আমরা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

এই বিষয়ে প্রার্থী প্রবীর ঘোষালের প্রতিক্রিয়া, “কৃষ্ণাদি হচ্ছেন উত্তরপাড়ার বিজেপি সব থেকে বড় জননেত্রী। অনেক পুরনো নেত্রী। তাই তাঁর মনে আঘাত লেগেছিল, মান অভিমান হয়েছিল। তবে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। বাস্তব বিচার করে তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন।” তবে কৃষ্ণা ভট্টাচার্য যে ক্ষোভ একেবারে ঝেড়ে ফেলেছেন, তাঁর কথায় পুরোপুরি সে সমর্থন মিলল না। দলকে বিড়ম্বনায় ফেলা নিয়ে প্রশ্ন করতেই বিজেপি নেত্রীর বক্তব্য, “বিড়ম্বনা থেকে কাটিয়ে উঠতে চাইলে বড় দল উঠতেই পারে। আর আজ তো আমি আমার সিদ্ধান্ত বদলে দলকে সহযোগিতাও করলাম।”