
গুড়াপ: ১০০ দিনের কাজের দাবিতে পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সিপিআইএম নেতা-কর্মীরা। মাথা ফাটল এক বাম যুব নেতার। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির গুড়াপের ভাস্তারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে গুড়াপ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিআইএম। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বহিরাগতদের নিয়ে পঞ্চায়েতে গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার ঘর সহ একাধিক দাবিতে সোমবার গুড়াপ থানার ভাস্তারা গ্ৰাম পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল সিপিআইএমের। দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিছিল করে ভাস্তারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে উপস্থিত হন সিপিআইএম নেতা-কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিতে চান বলে মাইকে ঘোষণা করতে থাকেন। অপরদিকে পঞ্চায়েতের সামনে থেকে ‘জয় বাংলা’ এবং ‘সিপিআইএম তুমি বাংলা থেকে দূর হটো’ স্লোগান দিতে শোনা যায় কিছু মানুষকে। এরপরই সেখানে উত্তেজনা ছড়ায়।
সিপিআইএম-এর অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজের দাবিতে পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দিতে উপস্থিত হলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত অফিস থেকে বেরিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় বাম কর্মী-সমর্থকদের উপর। মারধর করা হয় দলীয় কর্মীদের। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হামলায় মাথা ফেটে যায় সিপিআইএম যুবনেতা সুপ্রভাত দাসের। মাথায় একাধিক সেলাই পড়েছে। ঘটনায় আঘাত পান আরও এক বর্ষীয়ান বাম নেতা আব্দুল হাই।
শাসকদলকে আক্রমণ করে সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, “একদিকে ভোট লুঠ করে ক্ষমতা দখল করবে। অন্যদিকে মানুষের অধিকার নিয়ে পঞ্চায়েতে গেলে আক্রমণ করবে। এটাই এখন শাসকদলের কাজ।” পুলিশের সামনেই তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ সুপ্রভাত দাসের।
সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ ঘোষের দাবি, “সিপিআইএম ডেপুটেশনের নামে সুপরিকল্পিতভাবে বহিরাগতদের নিয়ে পঞ্চায়েতে গন্ডগোল করেছে। ওখানে এই এলাকার তেমন লোক ছিল না। তাছাড়া ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করেছে কেন্দ্র, তাহলে এখানকার শাসকদল কী করতে পারে।”