Durga Puja: মুসলমান ভাইয়ের গাড়িতে চড়ে মা আসেন এখানে, ইমামবাড়ার পাশের এই দুর্গাপুজো দেখছেন?

Ashique Insan | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 10, 2024 | 1:41 PM

Durga Puja 2024: হুগলির ইমামবাড়া দানবীর হাজি মহম্মদ মহসীন তৈরি করেছিলেন। সময় লেগেছিল কুড়ি বছর। সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য যা একটি দর্শনীয় স্থাপত্য। গঙ্গার পাড়ের সেই ইমামবাড়ার পাশেই হয় ইমামবাজার সর্বজনীন দুর্গা পুজো হয়।

Durga Puja: মুসলমান ভাইয়ের গাড়িতে চড়ে মা আসেন এখানে, ইমামবাড়ার পাশের এই দুর্গাপুজো দেখছেন?
ইমামবাড়ায় দুর্গাপুজোয়
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

হুগলি: এ বাংলা সম্প্রীতির। শুধু হিন্দুরা নয়, হুগলির ইমামবাড়ার পাশে প্রতিবছর হওয়া দুর্গাপুজোয় হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে ওঁরা। দুই সম্প্রদায় মিলে পালন করে পুজো। ইদ-মহরম পালিত হয় ইমামবাড়ায়।

হুগলির ইমামবাড়া দানবীর হাজি মহম্মদ মহসীন তৈরি করেছিলেন। সময় লেগেছিল কুড়ি বছর। সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য যা একটি দর্শনীয় স্থাপত্য। গঙ্গার পাড়ের সেই ইমামবাড়ার পাশেই হয় ইমামবাজার সর্বজনীন দুর্গা পুজো হয়। পুজোর দিনগুলিতে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন মিলেমিশে। কুমোর বাড়ি থেকে প্রতিমা আনা থেকে বিসর্জন একসঙ্গেই করেন।

মহম্মদ রমজান বলেন,”একসঙ্গে পুজোটা করি। খুব আনন্দ করি। আমার নিজের গাড়ি করে ঠাকুর নিয়ে আসি। আমাদের মহরমে তাজিয়া বেরোয় তখন হিন্দু ভাইরা থাকে। আমরা পাশাপাশি থাকি তাই কোনও বিভেদ দেখি না।” সৌমিত্র সিংহ বলেন,”জায়গাটার নাম ইমামবাড়া হলেও আমরা যে দুর্গাপুজোর আয়োজন করি তাতে হিন্দু মুসলিম মিলিতভাবে করি। রমজান তার গাড়িতে করে ঠাকুর নিয়ে আসে এক পয়সাও নেয় না। আমাদের অঞ্চলে যুবকের সংখ্যা কম। মুসলিম ভাইয়েরা নিজেদের মতো করে থাকে বলে সব ভাল ভাবে হয়ে যায়। কোনও ভেদাভেদ নেই। একসঙ্গে আমরা উৎসব পালন করি ভোগ খাওয়া প্রসাদ খাওয়া বিসর্জন দেওয়া সব একসঙ্গেই করি। আমরা ঈদ ও মহরম পালন করি একসঙ্গে।ইমামবাড়া এলাকায় দুই সম্প্রদায়ের বসবাস হলেও কোনও দিনও অপ্রীতিকর ঘটনা শুনতে পাবেন না। আমরা মায়ের কাছে সেই প্রার্থনাই করি যাতে সম্প্রীতি বজায় থাকে। এভাবেই আমরা মিলেমিশে উৎসব পালন করতে পারি। কারণ উৎসব সবার।”

Next Article