Arambagh: সারাদিন কানের কাছে ভনভন, ভেঙে যাচ্ছে একের পর এক বিয়ে! প্রতিবাদে পথ অবরোধ গ্রামের মহিলাদের
Arambagh: এদিন এলাকার মহিলারাই একত্রিত হয়ে পথ অবরোধে সামিল হন। চলতে থাকে স্লোগান। অভিযোগ, গ্রামের মধ্যে একটি পোল্ট্রি ফার্ম থেকেই যত সমস্যা। সেখান থেকে আসা মাছিরাই কার্যত দখল নিয়ে নিচ্ছে গোটা গ্রামের।
গোঘাট: মাছির উৎপাতে টেকা দায়! বিয়ে হচ্ছে না গ্রামের তরুণ-তরুণীদের। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল গোটা গ্রাম। পথ অবরোধে সামিল হয়ে চলল বিক্ষোভ। এই ছবিই দেখা গেল হুগলির গোঘাটের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁধেস্বর এলাকায়। অভিযোগ, এতটাই দুর্গন্ধ এলাকায় যে বাড়িতে বসবাস করা যাচ্ছে না। মাছির উৎপাতে রান্না করা খাবারও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জীবাণুর আক্রমণে বিপর্যস্ত জনজীবন। ছোটদের পড়াশোনাতেও ব্যঘাত ঘটছে। এমনকি গ্রামের ছেলেমেয়েদের ও মাছির উৎপাতের জন্য বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এ ঘটনা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন তাঁরা। সুরাহার জন্য ঘুরেছেন সরকারের দরজায় দরজায়। বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকের কাছে আবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের মহিলারা।
এদিন এলাকার মহিলারাই একত্রিত হয়ে পথ অবরোধে সামিল হন। চলতে থাকে স্লোগান। অভিযোগ, গ্রামের মধ্যে একটি পোল্ট্রি ফার্ম থেকেই যত সমস্যা। সেখান থেকে আসা মাছিরাই কার্যত ‘দখল’ নিয়ে নিচ্ছে গোটা গ্রামের। গ্রামবাসীদের বড় অংশের অভিযোগ, শাসকদলের নেতাদের মদতেই গ্রামের মধ্য প্রায় ২৬ বিঘার এই পোলট্রি ফার্ম তৈরি হয়েছে। এদিকে গ্রামে যে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মাছির উৎপাত বেড়েছে তা মেনে নিয়েছেন গোঘাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিজয় রায়। কিন্তু জনবসতির মধ্যে কিভাবে এত বড় পোল্ট্রি ফার্মের অনুমতি মিলল সে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলেই।