Arambag: রাত্রিবেলা স্ত্রী সোনিয়ার হাত ধরে কাঁটাতার পেরিয়েছিলেন, তবে ভবিষ্যত ভাল হল না বাংলাদেশি যুবকের

Arambag: পুলিশ সূত্রে খবর, দুদিন আঘে স্ত্রী সোনিয়াকে নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন পলাশ। তারপর তাঁরা একটি জায়গায় আশ্রয় নিয়ে থাকতে শুরু করেন। তবে কোন স্থানে তাঁরা ছিলেন তা বলতে পারেননি পলাশ। যুবকের যদিও দাবি উপযুক্ত নথি সব রয়েছে স্ত্রীর কাছে।

Arambag: রাত্রিবেলা স্ত্রী সোনিয়ার হাত ধরে কাঁটাতার পেরিয়েছিলেন, তবে ভবিষ্যত ভাল হল না বাংলাদেশি যুবকের
অভিযুক্ত যুবকImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2023 | 7:01 PM

আরামবাগ: স্ত্রীর সঙ্গে কাটাতার পেরিয়ে এ রাজ্যে ঢুকেছিলেন যুবক। তবে যাত্রা সফল হল না। এলাকাবাসীর সন্দেহ হতেই ফোন গেল পুলিশে। তারপর পুলিশ আধিকারিকরা এসে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশ জানতে পারে দালালদের মাধ্যমে এ রাজ্যে প্রবেশ করছিল তাঁরা। অভিযুক্ত দালালদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল আরামবাগের বিবেকানন্দ মোড়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম পলাশ গোস্বামী। তার বাড়ি বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায়। পাশাপাশি বাকি চারজনের নাম সৈয়দ মণ্ডল,বাড়ি কর্ণাটকে,আলি মণ্ডল, বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া গ্রামে,আল আমিন সর্দার ও জাহিদুল সর্দার,বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুর এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুদিন আঘে স্ত্রী সোনিয়াকে নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন পলাশ। তারপর তাঁরা একটি জায়গায় আশ্রয় নিয়ে থাকতে শুরু করেন। তবে কোন স্থানে তাঁরা ছিলেন তা বলতে পারেননি পলাশ। যুবকের যদিও দাবি উপযুক্ত নথি সব রয়েছে স্ত্রীর কাছে।

রবিবার দালালদেরই একজনের সঙ্গে পলাশ বাজার করতে বের হন। পুলিশকে পলাশ জানিয়েছেন, ওই দালাল তাঁকে ট্রেনে চড়িয়ে একটি নদী পার হয়ে একটি বাজারে নিয়ে যায়। তারপর আর ওই দালালকে খুঁজে পাননি তিনি। তাই ভাড়া বাড়ির ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে আরামবাগ শহরে পৌঁছে যান। রাতের দিকে এলাকার মানুষ তাকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে আরামবাগ থানায় ফোন করে। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে, এলাকাবাসী বলেছেন, ওই যুবক নাকি তাঁদের জানিয়েছিলে তিনি খুবই গরিব । কাজের সন্ধানে দালালদের মাধ্যমে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে ঢুকেছে। এর জন্য দালালকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবক নিজেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ। তবে তিনি ঠিকমতো বাংলাও বলতে পারছিলেন না। সীমান্তের কোন্ জায়গা, কোন্ নদী পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছে তাও বলতে পারছে না।

সোমবার দিনভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে জেরার মাধ্যমে পুলিশ বুঝতে চেষ্টা করছে তার সঙ্গে তার স্ত্রী সত্যিই এসেছে নাকি সে একাই এসেছে। মঙ্গলবার ধৃতদের সকলকেই আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাঁদের প্রত্যেকেরই আগামী সাত দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।