হুগলি: মহিলাদের রাত দখলের পর এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। রাজ্য জুড়ে আরও তীব্র হচ্ছে প্রতিবাদের সুর। এবার প্রতিবাদে গর্জে উঠল ফুরফুরা শরিফ। ‘তিলোত্তমা’র হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলে নামলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারা। এলাকার বহু মহিলা ও পুরুষ পা মেলান সেই প্রতিবাদ মিছিলে। উপস্থিত ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক তথা পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীও। ফুরফুরার উজল পুকুর মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রতিবাদ মিছিল শেষ হয় ফুরফুরা শরিফের তালতলা হাট।
পীরজাদাদের একাংশ বলছে, ফুরফুরা শরিফ থেকেই তিলোত্তমার মৃত্যুতে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি আরও জোরাল করতে হবে, বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিবাদের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। নওশাদ সিদ্দিকী ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন পীরজাদা সাফেরি সিদ্দিকী, পীরজাদা মেহেরাব সিদ্দিকী প্রমুখ।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
মেহেরাব সিদ্দিকী স্পষ্ট বলেন, “জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। এই পরিস্থিতিতে নৈতিক কর্তব্য হিসেবেই প্রতিবাদ করছেন তাঁরা।” তিনি বলেন, “আরজি করে যা ঘটেছে, তার একটা প্রতিকার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যেটা করার দরকার ছিল সেগুলো আগে করলে ভাল হত।” সন্দীপ ঘোষকে নতুন দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নওশাদ সিদ্দিকীও। তিনি জানান, এদিন রাজনৈতিক পরিচয়ের উর্ধ্বে গিয়ে আন্দোলনে পা মিলিয়েছেন তিনি। নৃশংস হত্যার দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে নওশাদ বলেন, ‘ঘটনার পর নয়, আন্দোলনে জন বিস্ফোরণের পর শাসক দল পথে নামল।’ আইএসএফ বিধায়ক প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তিলোত্তমার দেহ দাহ করতে এত তৎপরতা কেন দেখানো হয়েছিল? দাহ করে দিলে তো আর ময়নাতদন্তের কোনও অপশন থাকে না। আমরা এ কোন রাজ্যে বসবাস করছি?’