Hooghly BLO: অত্যাধিক কাজের চাপের অভিযোগ, সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়ে হাসপাতালে ভর্তি BLO

SIR In West Bengal: উত্তরপাড়া বিধানসভার ২৭৯ নম্বর বুথ কোন্নগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএলও কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা বছর ষাটের তপতী বিশ্বাস। তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তাঁর স্বামী প্রবীর বিশ্বাসের অভিযোগ, এসআইআর-এর ফর্ম বিলি আবার ফেরত নেওয়া, কিউআর কোড স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করতে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন তপতী।

Hooghly BLO: অত্যাধিক কাজের চাপের অভিযোগ, সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়ে হাসপাতালে ভর্তি BLO
সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিএলওImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 20, 2025 | 4:24 PM

কোন্ননগর: এবার কোন্নগর!  অত্যাধিক কাজের চাপের অভিযোগ। কাজের মাঝেই সেরিব্রাল অ্যাটাক বিএলও-র। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।  বুধবার পৌনে এগারোটা নাগাদ এসআইআর এর ফর্ম বিলি করতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন বিএলও তপতী বিশ্বাস। হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক জানান,সেরিব্রালে অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। শরীরের বাম দিক নিঃসাড়। আপাতত কোন্নগর পৌরসভা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

উত্তরপাড়া বিধানসভার ২৭৯ নম্বর বুথ কোন্নগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএলও কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা বছর ষাটের তপতী বিশ্বাস। তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।
তাঁর স্বামী প্রবীর বিশ্বাসের অভিযোগ, এসআইআর-এর ফর্ম বিলি আবার ফেরত নেওয়া, কিউআর কোড স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করতে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন তপতী। কাজের চাপে প্রায় সারা রাত ঘুমাতে পারছেন না তিনি। ঘন ঘন ফোন আসছে, ফর্ম জমা করার জন্য।

তপতীর স্বামীর অভিযোগ, “ওই বুথে এক হাজার ষোলো জনের এনুমারেশান ফর্ম বিলি করা হয়েছে। এখনও ৪৫ জনের বাকি। ওর শরীর খারাপ ছিল, তাই বলেছিলাম বিএলও না করতে। না করলে বলল চাকরি থাকবে না। মানসিক চাপ নিয়েও কাজ করছিল।”

তপতীর এক মেয়ে আছেন।  স্বামী একটি স্বল্প বেতনের চাকরি করেন। প্রবীর বাবু শ্রীরামপুর হেস্টিংস জুটমিলের শ্রমিক ছিলেন। বর্তমানে অবসর নিয়েছেন। তাই স্ত্রীর চাকরিই ভরসা। তপতীর দেওর বাবুলাল বিশ্বাস বলেন, “এত নেটের সমস্যা স্ক্যান করতে পারছে না ফর্ম। আর তা না হলেই টেনশনে পড়ে যাচ্ছেন। সম্পূর্ন টেনশন থেকে সেরিব্রাল হয়েছে।”

হাসপাতালের চিকিৎসক সঞ্জয় শী বলেন, “হাই সুগার এবং হাই ব্লাড প্রেসারের কারণে সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়েছে। আমরা সিটি স্ক্যান করে দেখেছি। তবে ওনার জ্ঞান আছে।এখন অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। নিয়মিত চিকিৎসার মধ্যে ছিলেন না ওষুধও খেতেন না সেই কারণে সুগার এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রণে ছিল না।”