Hooghly Death: স্ত্রী চলে গেলেন রাত ১২টায়, স্বামী আর কিছুক্ষণ পরেই- উত্তর খুঁজছে পাচ্ছে না উত্তরপাড়া
Hooghly Death: উত্তরপাড়ার হিন্দমোটর বিবিডি রোড এলাকার বাসিন্দা প্রণব দাস (৫৭) ও মালঞ্চ দাস (৫৪)। দম্পতির এক পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি বেসরকারি একটি সংস্থায় কর্মরত। শনিবার রাত্রিবেলা খাবার খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েন তিনজনই। হঠাৎ রাত বারোটা নাগাদ অসুস্থ বোধ করেন মালঞ্চদেবী। বুকে ব্যথা শুরু হয়।
হুগলি: কেউ বলছেন ‘এটাই ভালবাসা’। কেউ আবার বলেছেন ‘সহমরণ’। আবার কেউ জোড়া শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন। রবিবার সকালে হৃদয়বিদারক এ হেন ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপাড়ার হিন্দমোটেরের বাসিন্দারা। স্ত্রী-র মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু স্বামীরও। এলাকাবাসী বলছেন, স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা মেনে নিতে পারেননি। তার জেরেই এই ঘটনা।
উত্তরপাড়ার হিন্দমোটর বিবিডি রোড এলাকার বাসিন্দা প্রণব দাস (৫৭) ও মালঞ্চ দাস (৫৪)। দম্পতির এক পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি বেসরকারি একটি সংস্থায় কর্মরত। শনিবার রাত্রিবেলা খাবার খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েন তিনজনই। হঠাৎ রাত বারোটা নাগাদ অসুস্থ বোধ করেন মালঞ্চদেবী। বুকে ব্যথা শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন প্রণববাবু ও তাঁর সন্তান। কিন্তু নাহ! বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মালঞ্চ দেবী। স্ত্রীকে হারিয়ে তখনই শোকে পাথর হয়ে যান প্রণববাবু।
এ দিকে, রাত্রিবেলাই আত্মীয়স্বজনরা এই শোকের খবর পান। যে যার মতো আসতে শুরু করেন প্রণববাবুর বাড়িতে। রবিবার সকাল সাতটা নাগাদ প্রত্যেকে সৎকারের ব্যবস্থা করছেন সেই সময় হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন প্রণববাবুও। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু এক্ষেত্রেও শেষরক্ষা হয়নি। স্ত্রী-র মতো একইভাবে মৃত্যু হয় তাঁর।
পড়শিরা বলছেন এ যেন সহমরণ। প্রতিবেশী দীপঙ্কর সরকার বলেন,”দম্পতির মধ্যে গভীর ভালবাসা ছিল। স্ত্রী বিয়োগ মানতে পারেননি তাই প্রণবও চলে গেল।” দম্পতির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়া শিবতলা ঘাটে দম্পতির দেহ দাহ করা হবে।