Hooghly Kali Puja: প্রথা মেনে মশাল হাতেই ঘোরা হয় গ্রাম, গুপ্তিপাড়ার মশাল কালী পুজোয় আজও একই রীতি
Hooghly Kali Puja: গুপ্তিপাড়ার বহু রীতিনীতি আছে যা অতীতে গুপ্ত থাকলেও এখন প্রকাশ্যে। অতীতে ডাকাতি করার আগে পুজো দিয়েই নাকি মশাল জ্বালিয়ে ডাকাতি করতে যেত ডাকাত দল।
হুগলি: প্রথা মেনে মশাল নিয়ে গ্রাম পরিক্রমা করে শোভাযাত্রা হল হুগলির বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায়। যেমনটি রথের সময়ে ভাণ্ডার লুঠ হয়, শোভাযাত্রাতেও ছিল পুলিশ প্রহরা। বহু বছরের রীতি মেনেই এই ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে গুপ্ত বৃন্দাবন বা গুপ্তিপাড়ায়।
গুপ্তিপাড়ার বহু রীতিনীতি আছে যা অতীতে গুপ্ত থাকলেও এখন প্রকাশ্যে। অতীতে ডাকাতি করার আগে পুজো দিয়েই নাকি মশাল জ্বালিয়ে ডাকাতি করতে যেত ডাকাত দল। সে সব এখন অতীত। এখন ডাকাত কালীই মশাল কালী নামে পুজিত হয় গুপ্তিপাড়ার পুলিশ ফাঁড়ির পিছনের ত্রিকোণ পার্ক এলাকায়।
এখন রাস্তায় সরকারি আলো থাকলেও,মশাল জ্বালিয়েই শোভাযাত্রা হয়। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে বহু মানুষ সেই মশাল শোভাযাত্রা দেখতে ভিড় জমায় রাস্তার দুই ধারে।
গুপ্তিপাড়া হুগলির প্রাচীন একটি জনপদ। গঙ্গার পশ্চিম পাড়ের এই জনপদে এক সময় ছিল সেনদের জমিদারি। সেখানেই শুরু হয় প্রথম বারোয়ারি পুজো। ডাকাবুকো সেই ডাকাতদল আজ আর নেই। কিন্তু তাদের ছেড়ে যাওয়া পুজো আজও রয়েছে। আর তার সঙ্গে রয়েছে প্রাচীণ যুগের সেই মশাল। নিয়ম মেনে তাই আজও পুজোর সময় সাজিয়ে তোলা হয় সেই মশাল। জ্বালানো হয় পুজোর সময়। এখন পরিস্থিতি অনেকটা বদলে গিয়েছে। তবে আজও রীতি মেনে হচ্ছে পুজো।