Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাড়ি থেকে ভেসে আসছিল বাচ্চার কান্নার আওয়াজ, মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত আর দু’ধারে কাতরাচ্ছেন বাবা-মা…

মর্মান্তিক ঘটনা হুগলির (Hooghly) আরামবাগের (Arambag) গোঘাটে।

বাড়ি থেকে ভেসে আসছিল বাচ্চার কান্নার আওয়াজ, মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত আর দু'ধারে কাতরাচ্ছেন বাবা-মা...
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 04, 2021 | 5:11 PM

হুগলি: বাড়ির ভিতর থেকে ভেসে আসছিল একটা বাচ্চা কান্নার আওয়াজ। এক টানা কেঁদে যাচ্ছিল সে। একশো দিনের কাজ সেরে তখন বাড়ি ফিরছিলেন প্রতিবেশীরা। অনান্য দিন যে বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শোনা যায়, এ দিন কেন এতটা অদ্ভূত নিঃস্তব্ধতা! বাচ্চাটা এ ভাবে কাঁদছে, অথচ কেন কেউ তাকে থামছে না? উত্তর খুঁজতেই বাড়ির দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন প্রতিবেশীরা। মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত। এক দিকে পড়ে রয়েছেন স্ত্রী অন্যদিকে কাতরাচ্ছেন বাড়ির কর্তা। আর রক্তাক্ত মেঝেতে বাবা-মায়ের মাঝে বসে কেঁদে যাচ্ছে বছর পাঁচেকের শিশুটি। মর্মান্তিক ঘটনা হুগলির (Hooghly) আরামবাগের (Arambag) গোঘাটে।

গোঘাটের বেতবনি গ্রামের বাসিন্দা বছর তিরিশের জগন্নাথ মল্লিশ সোনার কাজ করতেন। কাজের সূত্রেই তিনি দিল্লিতে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে বাড়ি ফেরেন তিনি। প্রতিবেশীরা বলছেন, তারপর থেকে মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হত। কিন্তু কী বিষয়ে ঝামেলা হত, তা স্পষ্ট ছিল না।

Hooghly Arambag Suicide

নিজস্ব চিত্র

স্থানীয়দের বয়ান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে এলাকারই কয়েক জন বাসিন্দা একশো দিনের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা জগন্নাথের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁদের বাচ্চাটার কান্নার শব্দ শুনতে পান। তা শুনেই ভিতরে ঢোকে ওই দৃশ্য দেখতে পান তাঁরা।

আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে এ বার বাদ পড়তে চলেছেন কোন কোন হেভিওয়েট? বাদ পড়তে পারেন মন্ত্রীও

গ্রামবাসীরা প্রথমে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয় জগন্নাথের স্ত্রীর। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য। পাঠিয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহেই কেউ কাউকে আঘাত করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। তদন্ত চলছে। আপাতত বাচ্চাটি যাতে আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারে, তারই চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।