Hooghly: এক পাটি জুতো নেই দেখেই খুঁজতে যান বৃদ্ধ, আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে, টের পাননি ঘুণাক্ষরেও, CCTV-তে দেখা গেল সবটা
Hooghly: দোকান ঝাঁট দেওয়ার সময় বাইরে বেরিয়ে দাঁড়ান বৃদ্ধ। সেখানে তিনি দেখেন দোকানের সামনে পড়ে রয়েছে তাঁর এক পাটি জুতো। আর এক পাটি নেই। সেই সময় এক যুবক এসে তাঁকে বলেন, কুকুরে জুতো টেনে নিয়ে গিয়েছে...।

হিন্দমোটর: বরের জুতো লুকিয়ে রেখে টাকা আদায় করার চল আছে বিয়েবাড়িতে। তাই বলে জুতো চুরি করে লুঠ! এমনটাই ঘটল হুগলির হিন্দমোটরে। পুরো ঘটনাটা ধরা পড়ে গেল সিসিটিভি-তে। তবে আতঙ্ক কাটছে না। এলাকায় এমন ঘটনা যদি আবারও ঘটে! এই আশঙ্কাই প্রকাশ করছেন ব্য়বসায়ীরা।
হিন্দমোটর বিবি স্ট্রিটের একটি ওষুধের দোকানের ঘটনা। মনোজ মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির দোকান রয়েছে সেখানে। বুধবার সকালে তাঁর বাবা বিপ্লব মুখোপাধ্যায় দোকান খোলেন। কিছুক্ষণ পর একজন প্রৌঢ় ওষুধ কিনতে যান সেই দোকানে। তাঁকে ওষুধ দিয়ে দেন ওই ব্য়বসায়ী। তারপর যান আরও একজন ক্রেতা। বিভিন্ন ওষুধ দেখে, না কিনে চলে যান তিনি।
এরপর দোকান ঝাঁট দেওয়ার সময় বাইরে বেরিয়ে দাঁড়ান বৃদ্ধ। সেখানে তিনি দেখেন দোকানের সামনে পড়ে রয়েছে তাঁর এক পাটি জুতো। আর এক পাটি নেই। সেই সময় এক যুবক এসে তাঁকে বলেন, কুকুরে জুতো টেনে নিয়ে গিয়েছে বেশ খানিকটা দূরে। বৃদ্ধ ওই যুবকের সঙ্গে জুতো খুঁজতে চলে যান। দোকান তখন ফাঁকা। আর সেই সুযোগেই ঘটে যায় ঘটনাটা।
সিসিটিভি-তে দেখা গিয়েছে, সেই সময় ফাঁকা দোকানে ঢুকে পড়েন সেই প্রৌঢ়, যিনি সকালেই ওই দোকান থেকে ওষুধ কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। দোকানে ঢুকে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেন ওই প্রৌঢ়।
দোকান মালিক মনোজ মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটা গ্যাং এই কেপমারি করছে। ওষুধ কেনার অছিলায় ক্যাশ বাক্সটা দেখে যায় একজন। আর এক জন গিয়ে জুতো সরায়। আর এক জন গিয়ে বলে কুকুরে জুতো নিয়ে গিয়েছে।” এভাবেই পরিকল্পনামাফিক কাজ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁদের ক্যাশ বাক্সে ১০,০০০ টাকা ছিল। ওই ঘটনার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা।





