চুঁচুড়া: দু’বছর ওদের সম্পর্ক। তবে সময় বদলাতেই বদলেছে সম্পর্কের রঙ। অভিযোগ, প্রেমিকা নাকি অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। আর সেই দুঃখই মেনে নিতে পারেনি ছেলেটি। প্রেমে প্রত্যাখান হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল সে। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ এরপর ছেলের বাড়ির সদস্যরা গিয়ে হামলা চালায় মেয়েটির পরিবারের উপরে। গোটা ঘটনায় এলাকায় পৌঁছায় চুঁচুড়া থানার পুলিশ।
মৃতের নাম জিৎ হালদার (১৭)। হুগলি (Hooghly) কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল সে। ছাত্রের পরিবারের দাবি, কদমতলার বাসিন্দা এক সহপাঠী ছাত্রীর সঙ্গে তাঁদের ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গৃহ শিক্ষককের কাছে গিয়েই আলাপ। এরপর দু’বছর সম্পর্ক আরও গভীরতা পায়। কিন্তু এই বছর সরস্বতী পুজোর সময় জিৎ তাঁর প্রেমিকাকে আর একজন প্রেমিকের সঙ্গে দেখে ফেলে। তখনই শুরু হয় অশান্তি। অভিযোগ, প্রেমিকা জানায় সে নাকি জিৎ-এর থেকে ভালো ছেলে পেয়ে গিয়েছে সেই কারণে ঘুরছে। এরপর থেকেই সম্পর্কের অবনতি শুরু। কিন্তু তারপরও জিৎ চেষ্টা চালিয়ে যায় সম্পর্ককে ঠিক রাখার। বিভিন্ন কারণে প্রেমিকার হাতে টাকাও দিতে থাকে সে। যদিও এত কিছু করে সম্পর্ক ঠিক হয়নি। ইদানিং তাদের সম্পর্ক তলানীতে ঠেকে। জিৎ কে এড়িয়ে চলতে থাকে মেয়েটি।
এরপর গতকাল রাত সারে দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয় জিৎ। গভীর রাতে বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ডাকাডাকি করায় উঠছে না দেখে দরজা ভেঙে জিৎ এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় জিৎ। দাবি তাঁর দিদি ঈশানী হালদারের।
এদিকে ওই ছাত্রীর বাবা রঘু দেবনাথ সমস্ত বিষয়ে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল বলছে। আমি জানতাম না। আজ হঠাৎ আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে। মারধর করা হয়। এখনকার ছেলেমেয়েরা কোথায় কী করছে সেটা জানা যায় না।” ওই ছাত্রীর মা বলেন, “কাউকে চিনি না। হঠাৎ কিছু লোক ঢুকে পড়ে বাড়িতে। ভাঙচুর করে মারধর শুরু করে। আমায়ও বেধড়ক মেরেছে। পাশাপাশি ওরা বলতে থাকে আমাদের নাকি মেরেই ফেলবে। আমার মেয়ের নাকি একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম ছিল! একদল ছেলে-মেয়ে আড্ডা মারে। তাদের মধ্যে কিসের প্রেম হয়ে গেল জানি না।এখন তো ছেলেমেয়েদের বন্ধু-বান্ধব থাকে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ পরিস্থতি শান্ত করে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Child Harmed by Sharp weapon: ‘খবরটা শুনে বাড়িতে এসেই দেখি শুধু রক্ত আর রক্ত, ছেলেটাকে আমার ওরা…’