Child Harmed by Sharp weapon: ‘খবরটা শুনে বাড়িতে এসেই দেখি শুধু রক্ত আর রক্ত, ছেলেটাকে আমার ওরা…’
Paschim Medinipur: জানা গিয়েছে, আহত নাবালকের নাম সায়ন পাল। সায়ন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। পান্না গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। সায়নের মা শিপ্রা পাল ১০০ দিনের কাজ করেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর: একের পর এক ছুরির কোপ নাবালকের শরীরে। কিন্তু কেন? কেই বা করল? জানা গিয়েছে, নাবালককে ছুরির কোপ মেরেছে আরও এক নাবালক। কিন্তু কেন করেছে তা জানা যায়নি। ঘটনার পর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার পান্না গ্রামের। জানা গিয়েছে, আহত নাবালকের নাম সায়ন পাল। সায়ন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। পান্না গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। সায়নের মা শিপ্রা পাল ১০০ দিনের কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে শিপ্রাদেবী সন্তানকে বাড়িতে রেখে কাজের জন্য বেরিয়েছিলেন। এরপর হঠাৎই তাঁর কাছে খবর যায় যে সায়ন রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে পড়ে রয়েছে। তখনই তার মা বাড়িতে এসে ছেলেকে বিভৎস অবস্থায় বাড়িতে দেখতে পান। শিপ্রাদেবী এসে দেখেন বাড়িতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে রয়েছে সায়ন। তার গোটা শরীর থেকে রক্ত ঝরে পড়ছে। পরে এলাকাবাসীর থেকে খোঁজ নিতেই জানা যায়, পাশের গ্রামের আর এক নাবালক রোহিত খাঁড়া তাঁদের বাড়িতে এসেছিল। এবার সায়নের মা থাকার সুযোগ নিয়ে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
সায়নের মা শিপ্রা পাল বলেন, “পাড়া প্রতিবেশী ডেকে বলে এক্ষুনি বাড়িতে এস। আমি বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি আমার ছেলে গাড়িতে শুয়ে আছে। সবাই বলছে এই ভাবে কেটেছে। ওই ভাবে কেটেছে। আমার ছেলের কোনও বন্ধু কেটেছে। আমার ছেলে জানে। ওর পায়ে, গলায়, হাতে চোট। আমার ছেলে বলছে ছুরি দিয়ে কেটেছে। আমি জানি না কেন এমন করল।”
স্থানীয়দের চেষ্টায় আহত সায়নকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে ঘাটাল হাসপাতালে । যোদিও কি কারনে এই ঘটনায় এখনো জানা যায়নি। ঘাটাল থানার পুলিশ অভিযুক্ত ওই বালকে জিঞ্জাসাবাদ করছে।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘কেষ্টর’ থেকে এক কদম এগিয়ে দিলীপ, কাঁচা বাঁশ কেটে রাখছে বিজেপি