Humayun Kabir: হুমায়ুনকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ

Humayun Kabir: হুমায়ুন কবীরের দাবি, ইজতেমা স্থলে তিনি নামাজ পড়তে যান। কিন্তু ঢোকার মুখেই তাঁকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে যে স্থানে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমা , সেখানে যাওয়ার পরই তাঁকে বিক্ষোভ দেখানো হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

Humayun Kabir: হুমায়ুনকে গো ব্যাক স্লোগান, দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ
হুমায়ুন কবীরকে গো ব্যাক স্লোগানImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 31, 2025 | 2:25 PM

হুগলি:  ইজতেমাস্থলে গিয়ে হেনস্থার মুখে ভরতপুরের বিধায়ক তথা জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন কবীর। তাঁকে গো-ব্যাক স্লোগান! অভিযোগ তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা হুগলির দাদপুরের পুইনামে। হুমায়ুনের দাবি, ইজতেমা স্থলে তিনি নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঢোকার মুখেই মহেশ্বরপুরে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।  পরে যে স্থানে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমা, অর্থাৎ পুইনানে, সেখানে যাওয়ার পরও তাঁকে আরও একবার বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের দাবি, হুমায়ুনের দাবি মিথ্যা। তৃণমূল ইজতেমা আয়োজন করেনি। তাই বিক্ষোভের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠান স্থানে গিয়ে রাজনীতি করছেন।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা ওয়াসিম রেজা বলেন, “তৃণমূলের তরফে কোনও ইজতেমার আয়োজন করা হয়নি। কমিটির লোক পরিচালনা করে। শুনেছি, ওনাকে নাকি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। সর্বোপরি মিথ্যা কথা।”

হুমায়ুন কবীর বলেন, “বাংলার সংখ্যালঘু প্রধান একটা এলাকার জনপ্রতিনিধি আমি। সেখানে আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। শুরুতেই তিনি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দিচ্ছেন। যেতে দেব না বলছিলেন। আমাদের প্রার্থী ইব্রাহিম হাজি তাদেরকে সরালেন। আর প্রশাসন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। কারণ একটাই শাসকদলের ইন্ধন রয়েছে। তাই পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে। একজন বিধায়ককে আটকানো হচ্ছে, সেখানে পাঁচ-ছ’জন পুলিশ ঘুরে বেড়াচ্ছে, আটকাচ্ছে না। তৃণমূলের যাঁরা কর্তারা রয়েছেন, তাঁরা ভয় পেয়েছেন। এসবের জবাব পাবে।”

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান হুমায়ুন ও তাঁর ছেলে। হুমায়ুনের নিরাপত্তারক্ষী পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগে রবীনকে থানায় নিয়ে যায় শক্তিনগর থানার পুলিশ। প্রায় ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ছাড়া পান। তবে এই ঘটনায় পুলিশ হুমায়ুন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

দুর্গা অঙ্গনের ভূমি প্রস্তর স্থান নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে সরকারি টাকায় করছেন, এটাই দুর্ভাগ্যজনক। একটা সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির মোকাবিলা করতে গিয়ে এসব করছেন। এটা সরকারিভাবে করা যায় না। আমরা মন্দির করার বিরোধী নই।”