TMC MLA: ‘এক থেকে দেড় লাখের বেশি মাইনে, ৫ লাখ পাই প্লেনে চড়ার জন্য’, নিজেই নিজের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন TMC MLA

TMC MLA: একদিন আগে চুঁচুড়া-মগরা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে আদিসপ্তগ্রামে আয়োজিত ভোটার তালিকা সংক্রান্ত মিটিংয়ে গিয়েছিলেন অসিত। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তৃণমূল বিধায়ক। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা।

TMC MLA: ‘এক থেকে দেড় লাখের বেশি মাইনে, ৫ লাখ পাই প্লেনে চড়ার জন্য’, নিজেই নিজের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন TMC MLA
অসিত মজুমদার Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 24, 2025 | 5:46 PM

চুঁচুড়া: নিজেই নিজের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিজের মাইনের কথা বলতে গিয়ে সাফ বলে দিলেন, আমার কী যোগ্যতা আছে! একইসঙ্গে বিধায়ক হিসাবে কী কী সুবিধা পান তাও শোনালেন। তা আবার পোস্টও করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে তুমুল চাপানউতোর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পদ্ম শিবিরের নেতারা। তাঁদের সাফ কথা, অযোগ্যতা স্বীকার করছেন যখন তখন পদত্যাগ করে ফেলুন।

প্রসঙ্গত, একদিন আগে চুঁচুড়া-মগরা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে আদিসপ্তগ্রামে আয়োজিত ভোটার তালিকা সংক্রান্ত মিটিংয়ে গিয়েছিলেন অসিত। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি একটা চাকরি করতাম সেখানে ৪০-৫০ হাজার টাকা হয়তো বেতন পেতাম।কিন্তু আমি বিধায়ক হয়েছি। এক-দেড় লাখ টাকার বেশি বেতন পাই। ৫ লক্ষ টাকা বছরে পাই প্লেনে ঘোরার জন্য।রাজধানী এক্সপ্রেসের দুজন সঙ্গী নিয়ে ঘুরতে পারি ফ্রিতে।মেডিকেল বিল পাই আনলিমিটেড। এই যোগ্যতা আমার আছে? তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য আমি এমএলএ হয়েছি।” এখানেই না থেমে কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা বেতন পান। সাধারণ কর্মীরা কিছু পান না। অথচ দেখা যাচ্ছে ভোটার লিস্ট স্ক্রুটিনির ক্ষেত্রে কর্মীরাই ভাল কাজ করছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা ফাঁকিবাজি করছে।” তাঁর এ মন্তব্য নিয়েই চলছে চর্চা। 

হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “বিধায়ক নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে তাঁর কোনও যোগ্যতা নেই। দিদির দয়ায় খেয়ে পড়ে বেঁচে আছেন।” এখানেই না থেমে তাঁর খোঁচা, “অযোগ্য যখন তখন পদত্যাগ করে ফেলুন। চুঁচুড়া বিধানসভার মানুষেরও বোঝা উচিত কাদের ভোট দিয়ে বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত করেছেন।” যদিও বিধায়কের দাবি, দলের মধ্যে যাঁরা ফাঁকি মারে তাঁদের জন্য বলেছি। তাঁদের কথায়, “ভোটার লিস্ট কীভাবে করতে হবে দলের নির্দেশ কি আছে সেটাই বলছিলাম কর্মীদের। দু’একজন তো ফাঁকি মারে। কিন্তু তাঁরা যাতে এটা না করে সেই কারণে এটা বলেছি।”