
খানাকুল: পুজো শেষ। কিন্তু তারপরও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। কেন? আসলে দুর্গা, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, সরস্বতীর মাথার পিছনে রয়েছে বিশ্ব-বাংলার লোগো। এরপরই বিজেপির প্রশ্ন, তৃণমূল সরকারের লোগো দেবীর মাথার কাছে কেন থাকবে? একই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীও।
হুগলির খানাকুলের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম রাউতখানা। সেই গ্রামেই প্রতিবারের মতো এবারও ঝাঁ-চকচকে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সেই ছবি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপিও। যদিও, পুজো উদ্যোক্তারা এনিয়ে কোনওভাবেই ক্যামেরার সামনে আসতে নারাজ।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী সহদেব কর্মকার বলেন, “আমাদের গ্রামের পুজো এটা। প্রতিবছরের মতো এবারও পুজো হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ আমরা লক্ষ্য করলাম মায়ের মূর্তির উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো দেওয়া আছে। যেই মায়ের মূর্তির মাথায় শিব থাকার কথা সেখানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো। এই ব্যাপারটা আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। যারা এটা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “এই ক্লাব যেভাবে বিশ্ব বাংলার লোগো ব্যবহার করছে। যেখানে যেখানে টাকা দিয়েছেন মমতা সেই সেই জায়গায় এই লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী সংবিধানের অশোক স্তম্ভকেও ব্যবহার করছে।” ” রাজ্য তৃণমূল সম্পাদক স্বপন নন্দী বলেন, “বিভিন্ন ক্লাব, পুজো কমিটি বিভিন্ন থিম করে। এরা সত্যিই এরা ঠাকুরের ভক্ত। শিবের মূর্তি আছে। তারপর আছে অশোক স্তম্ভ ও তারপর আছে বিশ্ব বাংলার লোগো। এতে খারাপের কিছুই দেখছি না। আসলে যাঁরা বাংলাদেশি, পাকিস্তানি তাঁরাই প্রতিবাদ করছে।” উল্লেখ্য, প্রতিবারের মতো এবারও গ্রাম-শহরে দুর্গাপুজো চলেছে। কলকাতায় এক-একটি বড়-বড় থিমের মণ্ডপ টেক্কা দিয়েছে একে অপরকে। আগামী রবিবার হবে পুজো কার্নিভাল। তার জন্য় চলছে চূূড়ান্ত ব্যবস্থা। সঙ্গে চলছে প্রস্তুতি। ওই দিন রেড রোডে থাকবেন তারকারা। থাকবেন দেশ বিদেশের বহু অতিথিও। ঠিক তারই আগে এমন পুজো বিতর্ক নিতান্তই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।