Mahua Moitra-Kalyan: ‘মহুয়া তো বলবেই না ছেড়ে দিন…’, এবার তৃণমূলের গোটা মহিলা-মহলকেই নিশানা কল্যাণের
Kalyan Banerjee-TMC: শ্রীরামপুরের সাংসদ এদিন বলেন, রমেশ বিধুরী মহুয়া সম্পর্কে যে বাজে বাজে কথা বলেছে সেগুলো গ্রহণযোগ্য না। মহুয়ার ন্যায় বা অন্যায় নিয়েও আমি কোনও কথা বলব না।

কলকাতা: ‘দিদি-অভিষেকের কাছে অনেক কথা ফিল্টার হয়ে যায়’, এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেক কথা যায়,সব কথা যায়না,সংসদে আমাকে হুমকি দেওয়া হলে দলের মহিলা সাংসদরা চুপ করে বসে থাকে,আবার বিস্ফোরক কল্যাণ। সেই সঙ্গে দলের মহিলা সাংসদদেরও নিশানা করলেন তিনি।
কিছুদিন আগেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। একবার নয়, একাধিকবার সামনে আসে সেই দ্বন্দ্ব। সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেন। চিপ হুইপ পদে ইস্তফাও দেন তিনি। তাঁর জায়গায় কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে লোকসভার চিপ হুইপ করে দল, ডেপুটি লিডার পদ দেওয়া হয় শতাব্দী রায়কে। আর এবার কল্যাণ দাবি করলেন, তাঁকে আক্রমণ করা হলে তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা কোনও প্রতিবাদ করেন না।
শ্রীরামপুরের সাংসদ এদিন বলেন, “রমেশ বিধুরী মহুয়া সম্পর্কে যে বাজে বাজে কথা বলেছে সেগুলো গ্রহণযোগ্য না। মহুয়ার ন্যায় বা অন্যায় নিয়েও আমি কোনও কথা বলব না। ঠিক একই সময়ে সংসদে দাঁড়িয়ে রাজীব প্রতাপ রুডি মহুয়াকে সমর্থন করতে গিয়ে আমাকে থ্রেট করেছিল। সেখানে ডেপুটি লিডার শতাব্দী রায় উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু সেদিন তিনি রাজীব প্রতাপ রুডিকে কিছু বলেননি। আর মহুয়া তো বলবেই না ছেড়ে দিন। আমাকে যখন অ্যাটাক করা হচ্ছে, তখন তৃণমূলের মহিলা মহল সব চুপ করে বসে থাকে।”
কল্যাণের অভিযোগ, বিজেপি আক্রমণ করলেও তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা সবাই চুপ করে বসে থাকে। সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা সেদিন তাঁকে সমর্থন করেছিলেন বলেও দাবি করেন কল্যাণ।
