
হুগলি: লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাতারাতি তা গৃহীতও হয়ে যায়। পরিবর্তে তাঁর জায়গায় বসানো হয় কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। শ্রীরামপুরের সাংসদের ইস্তফা নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। কেউ কেউ জল্পনাও বেঁধেছেন যে মহুয়া কাঁটাতেই বিদ্ধ হয়েছেন কল্যাণ। আর সেই কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
এদিন রচনার মুখেও উঠে আসে কল্যাণ ইস্তফার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “আমরা সবাই রক্ত-মাংসের মানুষ। আমাদের সবার অভিমান হতেই পারে। তবে আমাদের নেত্রী এমন একজন মানুষ যে আমরা দলের উপরে বেশিদিন রেগে থাকতে কখনওই পারি না। কল্যাণদার কথা শুনেই তো আমরা চলি। আমরা জানি, কল্যাণদার নির্দেশ মানে দিদির নির্দেশ আর দিদির নির্দেশ মানে কল্যাণদার নির্দেশ। উনি কখনোই পিছিয়ে আসবেন না। এখন মুখ্য সচেতকের জায়গায় অন্য একজনকে আনা হয়েছে। এর মানে এটা নয় যে উনি দল থেকে চলে যাচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, কল্যাণ-মহুয়া কথা কাটাকাটির মাঝে মাথা চাড়়া দিয়েছিল সংসদে উপস্থিতির প্রসঙ্গ। এদিন সেই নিয়েও তাঁকে প্রশ্ন করা হলে রচনা বলেন, “যাদের রাজনীতিটাই পেশা, তাদের সংসদে প্রতিদিন যাওয়া উচিত। যদি না কোনও রকম অসুবিধা হয়। কিন্তু যাদের রাজনীতি পেশার সঙ্গে অন্য পেশায় যুক্ত রয়েছেন। যেমন আমি নিজেরই উদাহরণ দি। আমি ৩৬৫ দিন একটা অনুষ্ঠান চালাই, সঙ্গে রাজনীতি করি। সব কিছুকেই ম্যানেজ করি। কারণ এটা এমন একটা অনুষ্ঠান যা বন্ধ হলে মানুষ আন্দোলনে নেমে পড়বে। তার সঙ্গে সংসার রয়েছে, ব্যবসা রয়েছে। সব মিলিয়েই চলি। ১০০ শতাংশ হাজিরা দিতে পারি না কিন্তু সব সময় যাওয়ার চেষ্টা করি।”