Kuntal Ghosh: ২০ দিনের মধ্যে চাকরি! কুন্তলের দিদির বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল
Kuntal Ghosh: ওই মহিলার দাবি, কুন্তলের দিদি কুন্তলাই জানিয়েছিলেন, তাঁর ভাই চাকরি করিয়ে দিতে পারবে। সেই সময় ২০ দিনের মধ্যে চাকরি করিয়ে দিতে পারবেন কুন্তল, এমনটা জানিয়েছিলেন।
হুগলি: ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন। সেই চাকরি হয়নি। টাকাও ফিরত পাননি। তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুললেন হুগলির বলাগড়ের জিরাটের এক মহিলা। TV9 বাংলার প্রতিনিধির কাছে তিনি জানান, ২০২০ সালে ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন কুন্তলকে। নিজে বিড়ি বেঁধে, পেন ফ্যাক্টরিতে কাজ করে তিলে তিলে টাকা জমিয়েছিলেন। এমনকী মায়ের থেকেও টাকা ধার করেছিলেন বলে দাবি মহিলার। তাঁর বাড়ির পাশেই কুন্তলের দিদি কুন্তলার বাড়ি।
ওই মহিলার দাবি, কুন্তলের দিদি কুন্তলাই জানিয়েছিলেন, তাঁর ভাই চাকরি করিয়ে দিতে পারবে। সেই সময় ২০ দিনের মধ্যে চাকরি করিয়ে দিতে পারবেন কুন্তল, এমনটা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চাকরি পেতে গেলে টাকা দিতে হবে। চাকরি করিয়ে দিতে ১৪ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন কুন্তল। আরও জানিয়েছিলেন, ২০ দিনের মধ্যে খাদ্য দফতরে চাকরি করে দেবেন কুন্তল।
১৪ লক্ষের মধ্যে প্রথমে পাঁচ লক্ষ দিতে পারবেন বলে মহিলা জানিয়েছিলেন। তবে প্রথমে তিন লক্ষ টাকা দিয়েও দেন। কথা ছিল চাকরি হয়ে গেলে, বাকি টাকা দেবেন। কিন্তু যখন চাকরি হচ্ছে না, টাকা ফেরত চান মহিলা। অভিযোগ, কুন্তল তারপর থেকেই আর তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। তাঁর দাবি, বলাগড়ের বাড়িতে বসেই টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। কিন্তু পরে তাঁর সঙ্গে পরিবারের লোকেরা দেখা করতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষী তাড়িয়ে দিতেন বলে অভিযোগ।
ওই মহিলা জানাচ্ছেন, তাঁর মেয়ের পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে, অস্ত্রোপচার করতে হবে। প্রচুর টাকা দরকার। কিন্তু, ছেলের চাকরির জন্য মোটা টাকা ফেরত চাইতে গিয়েও মেলেনি। অসহায় হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে বারবার। এখন তাঁরা চাইছেন, কুন্তলের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি হয়। ইডির কাছেও সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন মহিলা। যদিও পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে কোনও অভিযোগ জানানি ওই মহিলা। TV9 বাংলার প্রতিনিধি গিয়েছিলেন কুন্তলের দিদি কুন্তলার বাড়িতে। এ ক তলার সেই বাড়ি বন্ধ। তালা দেওয়া গেটে। তাঁর বাড়ির কারোর সঙ্গেই দেখা করা সম্ভব হয়নি। এই নিয়ে জেলা তৃণমূল যুব সভানেত্রীকে ফোন করেছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি। তিনি এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।