landSlide: প্রবল বৃষ্টিতে এবার চুঁচুড়া-চন্দননগরের মাঝে রেললাইনে ধস
LandSlide: কখনও মাঝারি, কখনও আবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি। তার জেরেই আপ লাইনের কাছে মাটি ধসে যায় বলে খবর। স্থানীয়রা জানান, মাটির ধসের কারণে রেল লাইনের পাশে পড়ে থাকা স্লিপার নীচে গড়িয়ে যায়। লাইনের পাশে রয়েছে পুকুর। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, আরও বৃষ্টি হলে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে রেল লাইনের।
হুগলি: জেলায় জেলায় ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপের বৃষ্টি। তার জেরে বিভিন্ন জায়গায় ধস নামছে। এবার ধস নামল হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের চুঁচুড়া ও চন্দননগরের মধ্যে দেবীপুর এলাকায়। বৃহস্পতিবার তিন নম্বর লাইনের পাশে ভূমি ধস হয়। একটানা বৃষ্টির জেরেই এই ধস বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
দিন-রাত বৃষ্টি হয়েছে বৃহস্পতিবার। কখনও মাঝারি, কখনও আবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি। তার জেরেই আপ লাইনের কাছে মাটি ধসে যায় বলে খবর। স্থানীয়রা জানান, মাটির ধসের কারণে রেল লাইনের পাশে পড়ে থাকা স্লিপার নীচে গড়িয়ে যায়। লাইনের পাশে রয়েছে পুকুর। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, আরও বৃষ্টি হলে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে রেল লাইনের।
গতকাল রাতে বিষয়টি নজরে আসতেই রেলকর্মিরা ঘটনাস্থলে যান। চুঁচুড়া স্টেশনে ঢোকার আগে হোম সিগন্যালের কাছে দুন এক্সপ্রেস দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষানিরীক্ষা করে রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের কর্মীরা ফিট সার্টিফিকেট দেওয়ার পর ট্রেন ছাড়ে। রাত ৯টা ৪৫ থেকে ১০টা ১৭ অবধি দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেনটি। সেই সময় থার্ড লাইন দিয়ে কোনও ট্রেন চলেনি। সকাল থেকেও রেলকর্মিরা কাজ করছেন।
রিভার্স লাইন দিয়ে ট্রেন চালানো হয়। পরে আবার থার্ড লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার সকালেও হুল এক্সপ্রেস কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল চন্দননগরে। বৃষ্টির মধ্যেই রেলের ইঞ্জিনিয়ররা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ট্রেন চলাচল করলেও আপাতত আপ লাইন দিয়ে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল করছে।