Chandannagar Municipal Election: ‘লাল ফেরাও, হাল ফেরাও’, চন্দননগরে এ মন্ত্রেই ভোটের ময়দানে বামেরা
Chandannagar Municipal Election: মানুষ যদি গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা হলে বামপন্থা আবারও চন্দননগরের বুকে প্রতিষ্ঠা পাবে।
হুগলি: বছরের প্রথম দিন দল বেঁধে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন চন্দননগরের বাম প্রার্থীরা। শনিবার চন্দননগর মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ৩১ জন বামপ্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। শহরের তিন প্রান্ত থেকে মিছিল করে এসে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে তাঁরা পৌঁছন। সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য পিনাকী চক্রবর্তী বলেন, তাঁরা জয় নিয়ে আশাবাদী। মানুষ যদি গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা হলে বামপন্থা আবারও চন্দননগরের বুকে প্রতিষ্ঠা পাবে।
লাল ফেরালেই, চন্দননগরের হাল ফিরবে বলে দাবি বামেদের। বাম নেতা-কর্মীদের বক্তব্য, মানুষের ভোটে যে বোর্ড গত পুরনির্বাচনে তৈরি হয়েছিল, তার মেয়াদ আড়াই বছরের বেশি হল না। শাসকদল তা ধরে রাখতে পারল না। অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে বোর্ড ভেঙে প্রশাসক বসাতে হয় বলেও দাবি তাঁদের। ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচিত করলেও, শাসকদলের মধ্যে বিবাদ মানুষের সেই রায়কেও ধরে রাখতে পারেনি। এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই ভোটের বৈতরণী পার করা লক্ষ্য তাদের।
এ বিষয়ে পিনাকী চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের ইস্যু চন্দননগরের অনুন্নয়ন আর বোর্ড ভেঙে যাওয়া। গত পুরভোটে মানুষ তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। যে ভোটে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই সমর্থন করেছিলেন। অথচ নির্বাচিত পুরবোর্ডে অবাধ দুর্নীতির জন্য নিজেদের মধ্যে মারামারি, খেয়োখেয়ি শুরু হয়। আড়াই বছরের মাথায় পুরবোর্ডটা পর্যন্ত ভেঙে যায়। তার পর থেকে চন্দননগর জনপ্রতিনিধি শূন্য। প্রশাসক বসিয়ে চন্দননগর পুরসভা পরিচালনা করে মানুষের যে সিদ্ধান্ত তাকে সরকার অসম্মান করেছে। আমরা চাই মানুষ এবার ভোটে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দেবেন। বামপন্থীদের হাতেই তা ফেরাবেন। কারণ তৃণমূলের হাতে তা সুরক্ষিত না। পুরসভা তারা পরিচালনা করতে ব্যর্থ। চন্দননগরে বামপন্থীদের পুরসভা পরিচালনার ৫০ বছরের ইতিহাস আছে। মানুষ যদি নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা হলে বামপন্থীদের জয় হবে আমরা নিশ্চিত।”
শনিবার চন্দননগরের ৩১ জন বামফ্রন্ট প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। শহরের তিন প্রান্ত থেকে আলাদা আলাদা মিছিল করে এসে বাগবাজারে জমায়েত করেন বামফ্রন্ট নেতা কর্মীরা। সেখান থেকে ফের মিছিল করে চন্দননগর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে যান। পিনাকী চক্রবর্তী বলেন, “আজ আমাদের দু’জন প্রার্থী বাদ দিয়ে সমস্ত মনোনয়ন জমা পড়ে যাবে। প্রথম দিন তিনজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা বাকি ছিল। শুক্রবার দু’জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। একটা ৫ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে কমরেড গোপাল শুক্লা চন্দননগর ও হুগলি জেলার যুব আন্দোলনের নেতা তিনি। ১১ নম্বর ওয়ার্ড উর্দিবাজার আরও একজন যুব কমরেড প্রার্থী হয়েছেন। মহম্মদ মেহবুব আলম লড়াই করবেন। শনিবার প্রায় সকলেই মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন। শুধু দু’জনের সমস্যা রয়েছে বলে দিতে পারছেন না। ৩ তারিখ জমা দেবেন।”
আরও পড়ুন: Corona: স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে সংক্রমণ! এবার করোনা আক্রান্ত চিত্তরঞ্জন ন্যাশনালের অধ্যক্ষ
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: এই প্রথম! দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন অভিষেক