Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Loket Chatterjee: ‘সন্ধান চাই’, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামে পড়ল পোস্টার

Loket Chatterjee: প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে হুগলি লোকসভায় তৃনমূলের রত্না দে নাগকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

Loket Chatterjee: 'সন্ধান চাই', লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামে পড়ল পোস্টার
'সন্ধান চাই' লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামে পড়ল পোস্টার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2021 | 1:55 PM

হুগলি: হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়ল পাণ্ডুয়ায়। বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত অফিস ও তেলিপাড়া মোড়-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বুধবার সকালেএই পোস্টার দেখা যায়। তবে কারা এই পোস্টার লাগিয়েছেন সেটা জানা যায়নি।

পোস্টারগুলির নীচে কারোর নাম লেখা নেই। পোস্টারে লেখা নিখোঁজ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সন্ধান চাই। তৃণমূলের পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “হুগলির সাংসদকে বহু দিন পাণ্ডুয়া তথা হুগলি জেলায় দেখা যায়নি।এই পোস্টটার আগেই ফেলা উচিত ছিল। পাণ্ডুয়ার মানুষ তাঁকে খুঁজছেন।”

তাঁর আরও অভিযোগ, “করোনায় হুগলির সাংসদকে এখানে পাওয়া যায়নি। আমফানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। কোনও কাজেই তাঁকে পাওয়া যায় না। সাংসদ তো দেখাই দেন না। পাণ্ডুয়ার জনগণ এই পোস্টার মেরে থাকতে পারে। কারন তাঁরা নাগরিক, তাঁরা সাংসদকে দেখতে চান। তাঁর কাছে কিছু কাজ চান।” তিনি দাবি করেন, নির্বাচনে জেতার পর একবার এসেছিলেন লকেট। তারপর আর তাঁকে দেখা যায়নি এলাকায়। এমনকি বিজেপির লোকেরাও তাঁকে দেখতে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি।

হুগলি যবুমোর্চার সভপতি সুরেশ সাউ বলেন, “সামনে পুরসভা নির্বাচন। তার আগে এই ধরনের পোস্টার মেরে তৃণমূল ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। সাংসদ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। হুগলিতে এত বেশি করোনা টিকা এসেছে সাংসদের জন্য।সাংসদ তহবিলের টাকা দিয়েই কাজ চলছে। সাংসদ কী করবেন? যাঁরা পোস্টার মেরেছেন, তাঁদের বাড়িতে বাসন মেজে দেবেন?” তৃণমূলকে মুর্খের দল বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বর্তমানে উত্তরাখণ্ডে রয়েছি। যখন কোনও নির্বাচন থাকে, তখন দলের তরফে আরও বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। দল জানে আমি দলের কাজেই উত্তরাখণ্ডে এসেছি। দলের দায়িত্ব পালন করা আমাদের কর্তব্য। বাকিটা তো বাংলার মানুষ বুঝতেই পারছেন,  এটা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। ”

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে হুগলি লোকসভায় তৃনমূলের রত্না দে নাগকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়।হুগলি লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাণ্ডুয়া একটি। সেই পাণ্ডুয়া থেকে এবার বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন রত্না দে নাগ। অন্য দিকে চুঁচুড়া থেকে লড়াই করে তৃনমূলের অসিত মজুমদারের কাছে পরাজিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটে জেতার পর বিজেপির পালে যে হাওয়া উঠেছিল, বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর তা ,স্থিমিত হয়ে যায়।। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে পাঠায় বিজেপি।

অন্যদিকে গতকাল থেকে সিঙ্গুরে শুরু হওয়ায় বিজেপি কিষান মোর্চার ধর্নায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও লকেট চট্টোপাধ্যায় অনুপস্থিত ছিলেন। তা নিয়েও তৃনমূল কর্মীরা খোঁচা দেন। সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, বিজেপিতে ফের উইকেট পতন! তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা বাড়িয়ে সিঙ্গুরের ধর্না বয়কট হুগলির এমপি-র।

চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুদার বলেন, “লকেট চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় হেরে পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বিজেপি করবেন কী তৃণমূল করবেন, নাকি চাঁদে গিয়ে দল করবেন জানি না।” তাঁর আরও কটাক্ষ, “লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করেও সাফল্য পাননি। সিঙ্গুরে নাটক করছে বিজেপি। সে নাটকেও তিনি নায়িকা হয়ে আসেননি। কারণ তিনি তো কাকিমা জেঠিমার পাট করতেন। হুগলির মানুষ বিধানসভা নির্বাচনের পর আর দেখতে পাচ্ছে না।”

বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল এর প্রেক্ষিতে বলেন, “সামনে থেকে লড়াই করতে না পেরে পিছন থেকে সাংসদের নামে কুৎসা করছে তৃণমূল।পাণ্ডুয়াতে তৃণমূলের মন্ত্রীকেও দেখা যায় না। লকেট চট্টোপাধ্যায় সংসদে শীত কালীন অধিবেশনে রয়েছেন। তাঁকে দল উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব দিয়েছেন। জনাদেশ থাকা সত্ত্বেও কোনও কাজ করতে পারছেন না, তাই তৃণমূল এসব করছে।”

আরও পড়ুন: Leopard Body Recover: মুখের সামনের অংশ থেঁতলে গিয়েছে, চাপ চাপ রক্ত চর্তুদিকে! ফের ডুয়ার্সে চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার