Madan Mitra: উপ নির্বাচনে জয়, দিল্লিতে ‘তৃণমূলের মন্ত্রিসভায়’ কারা থাকবেন দেখতে পাচ্ছেন মদন
Madan Mitra: মদন মিত্রের দাবি, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো প্রার্থীর কাছে অগ্নিমিত্রা পাল কিছুই নয়। এই জয় 'মানুষের জয়' বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
হুগলি : রাজ্য জুড়ে যখন একের পর এক ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা, তারই মধ্যে আসানসোল ও বালিগঞ্জের জয়ে স্বস্তি পেয়েছে শাসক দল। উপ নির্বাচনের এই জয় বিরোধীদের মুখের ওপর জবাব বলেই মনে করছে শাসক দল। আর এই জয়ের পর মদন মিত্র আরও একবার উস্কে দিলেন তৃণমূলের দিল্লি-জয়ের স্বপ্ন। আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহার জয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, দিল্লির মন্ত্রিসভার সম্ভাবনাময় মুখগুলো দেখতে পাচ্ছেন তিনি। একটি বহুজাতিক সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার সিঙ্গুরে গিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। আর সেখানে গিয়েই এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি।
মদন মিত্রের দাবি, সিঙ্গুরে প্রতিদিন বিজেপির ভোট যে শুধু কমছে তাই নয়, বিজেপি বিরোধী ভোট প্রতিদিন বাড়ছে। অর্থাৎ বামেদের ভোট যে বিজেপিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে, সেটাই উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, বিরোধী এখন সিপিএম।
দীর্ঘদিন বিজেপির হাতে থাকা আসানসোল এবার তৃণমূলের দখলে এসেছে। শনিবার ফল প্রকাশের পর দেখা যায় রেকর্ড ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। স্বাভাবিকভাবেই আসানসোলের এই জয় শাসক দলের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সেই ফলাফলের কথা বলতে গিয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘কে অগ্নিমিত্রা? তাঁকে দিল্লিতে লোকসভায় পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আর অন্যদিকে রয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহার মতো প্রার্থী। আমাদের তো আস্তে আস্তে দিল্লির মন্ত্রিসভার সম্ভাবনাময় মুখগুলো তৈরি হয়ে যাচ্ছে।’ উল্লেখ্য, একুশের জয়ের পর থেকে তৃণমূলের লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর মদন মিত্রের দাবি, দিল্লিতে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে কারা মন্ত্রী হতে পারেন, সেটা নাকি এখন থেকেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
পাশাপাশি বিরোধীদের বার্তা দিয়ে মদন মিত্র বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যত কুৎসা রটাবে, তত মার্জিন বাড়বে। কারণ মানুষ জানে কোনও ঘটনাই অভিপ্রেত নয় এবং মুখ্যমন্ত্রী কঠোর হতে দমন করছেন। মুখমন্ত্রীর নির্দেশের পরই পুলিশ মাটির তলা থেকে অস্ত্র খুঁজে খুঁজে বের করেছে বলেও উল্লেখ করেন মদন। তিনি আরও জানান, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে ভাবে সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে, তাতে এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিজি কন্ট্রোল রুমে বসে দেখতে পাবেন সারা পশ্চিমবঙ্গের ছবি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার কথাও বলেন মদন। তিনি বলেন, ‘যতই ইডি, সিবিআই তলব করুক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা আরও একবার প্রমাণ হল।’