Pandua Death: পান্ডুয়ায় প্রৌঢ়কে পিটিয়ে ‘খুন’, কাঠগড়ায় বিজেপি, নিজেদের কর্মী বলে দাবি তৃণমূলের

Hooghly: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত প্রৌঢ় পেশায় দিনমজুর। স্টোরে আলু বাছাইয়ের কাজ করতেন।

Pandua Death: পান্ডুয়ায় প্রৌঢ়কে পিটিয়ে 'খুন', কাঠগড়ায় বিজেপি, নিজেদের কর্মী বলে দাবি তৃণমূলের
বাঁ দিকে কৃষ্ণ রায় (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2022 | 1:36 PM

হুগলি: বিজেপির মিছিলে না যাওয়ার অপরাধ! প্রৌঢ়কে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পান্ডুয়ার বেড়েলা গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম কৃষ্ণ রায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই মৃতের পরিজনদের তরফে পান্ডুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। আপাতত সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত প্রৌঢ় পেশায় দিনমজুর। স্টোরে আলু বাছাইয়ের কাজ করতেন। রবিবার বিজেপির তরফে চুঁচুড়ার খাদিনা মোড় থেকে ঘড়ির মোড় পর্যন্ত একটি ধিক্কার মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল। শীর্ষ নেতৃত্ব হিসেবে তাতে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেত্রী তথা হুগলি সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, এই মিছিলে যাওয়ার জন্যই ফতোয়া জারি করা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।

মৃতের পরিজনদের অভিযোগ, ধিক্কার মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কৃষ্ণকেও। কিন্তু সেই নির্দেশ মানেননি তিনি। তাই রাতে তাঁকে পাড়ার ক্লাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। মৃতের স্ত্রী ঝর্ণা রায় বলেন, ‘পাড়ার ক্লাবে কয়েকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় কৃষ্ণর। মিছিলে না যাওয়া নিয়েই সেই বিতর্ক। তখনই তাঁকে মারধর করা হয়। আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’ এ দিকে, কৃষ্ণর মামা দুলাল রায় সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপিকে। মিছিলে না যাওয়ার কারণেই কৃষ্ণকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, ‘কৃষ্ণ কোনও রাজনৈতিক দল করত না। তবুও তাকে জোর করে ডাকা হয়েছিল।’

এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দা লালু মালিক বলেন, ‘মদ্যপ অবস্থায় কৃষ্ণ ক্লাবের দাওয়ায় শুয়ে গালাগালি করছিলেন। তখন স্থানীয় বাসিন্দা কটা বাগ, বাবলু সিং, সুমন সিংদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। তখনই তাঁকে চড় থাপ্পড় এবং মাটিতে ফেলে বুকে লাথি মারে তারা। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও কারণ নেই।’

তবে এই মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিতে তরজার সৃষ্টি হয়েছে। পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় মৃত ব্যক্তিকে সরাসরি নিজেদের কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন। বলেন, ‘তাই বিজেপির সভায় যেতে চাননি কৃষ্ণ। সেই কারণেই তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মৃতের পরিজনদের সঙ্গে রয়েছি। দোষীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় তার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাচ্ছি।’ তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বিজেপি এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং মনগড়া অভিযোগ উঠছে। তৃণমূল জোর করে মিটিং মিছিলে লোক নিয়ে যায়। আর যিনি মারা গিয়েছেন তিনি সাধারণ এক দিনমজুর। বিজেপির কর্মী বা সমর্থক নন।’