Road Accident: একবছরও হয়নি ক্যানসার কেড়েছে স্বামীকে, চলে গেল একমাত্র মেয়েও, সব হারিয়ে শোকে পাথর সুতন্দ্রার মা, চাইছেন অভিযুক্তদের শাস্তি
Road Accident: চন্দননগরের নাড়ুয়া রায় পাড়ায় বাড়ি সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। বাবা সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রেলের ঠিকাদার। ন'মাস আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। নাড়ুয়ার বাড়িতে আছেন সুতন্দ্রার বৃদ্ধা দিদিমা, ঠাকুমা আর মা।

চন্দননগর: ছোট থেকেই খুব ভাল নাচ করতেন। বড় হয়ে নৃত্যশিল্পী হয়ে ওঠেন। চন্দননগরের সেই সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। জলজ্যান্ত মেয়েটার এভাবে পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না মা। কয়েক মাস আগেই ক্যান্সারে হারিয়েছেন স্বামীকে। আর এবার অকালে চলে গেল মেয়ে। সব হারিয়ে বুক ফাটা কান্না সুতন্দ্রার মায়ের। যে অভিযুক্ত যুবকদের জন্য এই ঘটনা তাঁদের কড়া শাস্তি চাইছেন প্রতিবেশীরা।
চন্দননগরের নাড়ুয়া রায় পাড়ায় বাড়ি সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। বাবা সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রেলের ঠিকাদার। ন’মাস আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। নাড়ুয়ার বাড়িতে আছেন সুতন্দ্রার বৃদ্ধা দিদিমা, ঠাকুমা আর মা। মেয়ের মৃত্যুর খবর কানে আসতেই ভেঙে পড়েছেন মা।
জানা গিয়েছে,রবিবার রাত দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন সুতন্দ্রা সহ চারজন। একটি ছোট গাড়ি ভাড়া করে চন্দননগর থেকে গয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। দুর্গাপুরের বুদবুদ এর একটি পেট্রল পাম্প থেকে তেল ভরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ওঠা মাত্রই কয়েকজন যুবক সুতন্দ্রাকে উত্যক্ত করতে থাকে। একটি ছোট সাদা গাড়িতে করে তাদের ধাওয়া করে। অভিযুক্ত যুবকরা সকলেই মত্ত ছিলেন বলে দাবি। অশ্লীল ইঙ্গিত শুরু করে ইভাটিজাররা। কটুক্তি করতে থাকে। এরপর গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করে। এই ঘটনায় রীতিমতো ভয় পেয়ে যান সুতন্দ্রাদের গাড়ির চালক। গাড়িটিকে কাঁকসার পানাগড়ের দিকে নিয়ে চলে যান। নিস্তার মেলেনি এরপরও। ধাওয়া করতে করতে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা সাদা রঙের ইভাটিজারদের গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে সুতন্দ্রাদের। তখনই উল্টে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার। কাঁকসা থানার পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
খবর পেয়ে নতুন তাঁদের বাড়িতে পৌঁছান চন্দননগর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহিত নন্দী। তিনি বলেন,”সুজনদার বাবা সুকান্ত আমার সহপাঠী ছিল। এখনও বছর ঘোরেনি, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যেই মেয়ের মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারছি না। যা শুনছি সেটা যদি সত্যি হয় তাহলে এই ধরনের দুষ্কৃতীদের ক্ষমা করা উচিত নয়।”

