AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SSC Tainted List: স্বামী দাপুটে TMC নেতা, পঞ্চায়েত সমিতিতে ছিলেন বড় পদে! খানাকুলের সেই চাকরিহারা শিক্ষিকার নামও দাগি তালিকায়

SSC Full Tainted List: আরামবাগের গৌরহাটি দুর্গাদাস বালিকা বিদ্যালয়ের অঙ্কের শিক্ষিকা ছিলেন নমিতা আদক। সূত্রের খবর, গত ১ এপ্রিল থেকে আর স্কুলে আসেননি নমিতা। ২২ শে জানুয়ারি ২০১৯ সালে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন এই স্কুলে।

SSC Tainted List: স্বামী দাপুটে TMC নেতা, পঞ্চায়েত সমিতিতে ছিলেন বড় পদে! খানাকুলের সেই চাকরিহারা শিক্ষিকার নামও দাগি তালিকায়
এই স্কুলেই পড়াতেন নমিতা Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2025 | 9:40 PM
Share

আরামবাগ: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দাগিদের তালিকা সামনে এনেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ৩৩ পাতার তালিকায় ১৮০৪ জনের নাম। তৃণমূল কাউন্সিলর থেকে তৃণমূলের সভানেত্রী, পঞ্চায়েক সদস্য, বিধায়ক ঘনিষ্ঠ, তৃণমূল নেতার স্ত্রী কেউই বাদ যাননি। এই তালিকাতেই সিরিয়াল নম্বর অনুসারে ৯১৫ তে নাম রয়েছে খানাকুলের দাপুটে তৃণমূল নেতা নইমুল হকের স্ত্রী নমিতা আদকের। রোল নম্বর 915 12211686001467 । 

এই নইমুল হক খানাকুল এক পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পদে ছিলেন। পরে আবার পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতিও হন। উন্নতি এখানেই থেমে থাকেনি। হয়েছিলেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষও। পরে যদিও সেই পদ যায়। এখনও যদিও তিনি খানাকুল এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। তাঁর স্ত্রীর চাকরি যাওয়ার খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও। 

আরামবাগের গৌরহাটি দুর্গাদাস বালিকা বিদ্যালয়ের অঙ্কের শিক্ষিকা ছিলেন নমিতা আদক। সূত্রের খবর, গত ১ এপ্রিল থেকে আর স্কুলে আসেননি নমিতা। ২২ শে জানুয়ারি ২০১৯ সালে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন এই স্কুলে। নিয়োগ দুর্নীতির খবর সামনে আসতেই ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁর সহধর্মনির ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

আরামবাগের গৌরহাটি দুর্গাদাস বালিকা বিদ্যালয়ে আরও দু’জনের চাকরি চলে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁরাও স্কুলে আসছেন না। নতুন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচে শুরু করেছেন। এদিকে একের পর এক শিক্ষক হারিয়ে চাপে পড়েছে স্কুল। পঠন-পাঠন নিয়ে চাপ বাড়ছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। শিক্ষিকারা ইতিমধ্যেই নিজেরা চাঁদা দিয়ে চারজন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলে বর্তমানে স্থায়ী শিক্ষিকার সংখ্যা মাত্র ১০। অন্যদিকে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৯০০।