AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: ‘অন্য রাজ্যে মহিলাদের সম্মান ফিরিয়ে আনার কাজ করতে পারলে বাংলায় নয় কেন…’, তোপ NCW-র

Hooghly: মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগের সমাধান না হওয়া নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। তিনি বলেন, "যেটা পুলিশের করার কথা, প্রশাসনের করার কথা, তারা যদি সেই কাজ করে, তা হলে দিল্লি থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনকে এসে এগুলোর সমাধান করতে হয় না।"

Hooghly: 'অন্য রাজ্যে মহিলাদের সম্মান ফিরিয়ে আনার কাজ করতে পারলে বাংলায় নয় কেন...', তোপ NCW-র
হুগলিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের জন শুনানিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2025 | 4:49 PM
Share

উত্তরপাড়া: নারীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ। হুগলির উত্তরপাড়ায় তা নিয়ে জন শুনানির আয়োজন করল জাতীয় মহিলা কমিশন। শুক্রবার এই জন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। আর সেখানেই তিনি বলেন, “অন্য রাজ্যে যদি মহিলাদের সম্মান ফিরিয়ে আনার কাজ করতে পারি, পশ্চিমবঙ্গে পারব না কেন, নিশ্চয় পারব।”

উত্তরপাড়ার নেতাজি ভবনে এই জন শুনানির আয়োজন করা হয়। নারীদের উপর হওয়া অত্যাচার, তার লিপিবদ্ধ অভিযোগ এবং কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েই এই জন শুনানি। নির্যাতিত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। ছিলেন হুগলি ও হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ, চন্দননগর ও হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকরা। দুই জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলাশাসক, আধিকারিকরা এই জন শুনানিতে অংশ নেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের আইনজীবী ও পরামর্শদাতারাও ছিলেন। এদিন ৬০টির বেশি মামলার জন শুনানি হয়।

মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগের সমাধান না হওয়া নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। তিনি বলেন, “যেটা পুলিশের করার কথা, প্রশাসনের করার কথা, তারা যদি সেই কাজ করে, তা হলে দিল্লি থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনকে এসে এগুলোর সমাধান করতে হয় না। বছরের পর বছর ধরে মামলা পড়ে রয়েছে। প্রচুর মামলা প্রত্যেকটা জেলায় পড়ে রয়েছে। জেলা ঘুরে ঘুরে জন শুনানি হচ্ছে। আমরা আশা করব, পুলিশ ও প্রশাসন তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করবে। তাহলে আমাদের কিছু করতে হয় না। মহিলারা সঠিক বিচার পাচ্ছেন না বলে আমাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। যে বিচারটা পাওয়ার কথা, সেটা না পেয়েও অনেকে আসছেন। মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “প্রচুর থানায় কেস নেওয়া হয় না। আবার কেস নিলেও অনেক জায়গায় আইনি ধারাগুলো বাদ চলে যায়।” এরপরই তিনি বলেন, “আমাদের প্রশিক্ষিত টিম রয়েছে। একশোর বেশি মহিলা আইনজীবী রয়েছেন। পরামর্শদাতা রয়েছেন। অন্য রাজ্যে যদি মহিলাদের সম্মান ফিরিয়ে আনার কাজ করতে পারি, পশ্চিমবঙ্গে পারব না কেন, নিশ্চয় পারব।” ঘৃণ্য অপরাধ ছাড়া বাকি মামলাগুলো এই শুনানিতেই সমাধান হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ফোনে বোলপুরের আইসি-তে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “যেভাবেই এটা ভাইরাল হোক না কেন, এটা তো লজ্জার। এই ঘটনার পর পুলিশ কেন কাজ করেনি, তার জন্য গতকাল আমরা চিঠি পাঠিয়েছি।”