Hooghly: শুনানিতে পড়েছিল ডাক, পরের দিনই আত্মঘাতী যুবক
hooghly: যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিরিশবিঘায় যান স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূল নেতা মানস মজুমদার। তিনি বলেন, "স্বপন দে-র পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই রেল লাইনের পাড়ে বসবাস করেন। তাঁদের কোনও কাগজ নেই। এসআইআর শুনানিতে তাঁকে যেতে বলে বিএলও। বাড়িতে এসে নোটিসটা পর্যন্ত দিয়ে যায়নি। অন্য এক স্বপন বাগদিকে নোটিস দিয়েছিল। গতকাল তাঁর শুনানি ছিল।"

সপ্তগ্রাম: আবারও এ রাজ্যে মৃত্যু। এসআইআর-এর শুনানিতে ডাক। কাগজ না থাকায় নাম বাদ যাওয়ার ভয়ে সপ্তগ্রামে আত্মঘাতী যুবক। তৃণমূলের অভিযোগ, কাগজ না থাকার আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক। ঘটনাটি হুগলির সপ্তগ্রাম বিধানসভার সপ্তগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের। সেখানকার তিরিশ বিঘায় ৭৮ নম্বর বুথের ভোটার ছিলেন স্বপন বাগদি (৩৬)। তিনি পেশায় দিন মজুর। গতকাল রাতে বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
তাঁর স্ত্রী প্রতিমা বাগদি জানান, “এসআইআর শুনানির জন্য বিএলও তাঁকে ফোন করে যেতে বলেছিল। আমার স্বামীর কোনও কাগজ নেই শুধু ভোটার কার্ড আছে। তাই কাগজ নিয়ে আতঙ্কে ছিল। এরপর আমার সঙ্গে ঝগড়া করে। তারপর আত্মহত্যা করেছে।”
যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিরিশবিঘায় যান স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূল নেতা মানস মজুমদার। তিনি বলেন, “স্বপন দে-র পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই রেল লাইনের পাড়ে বসবাস করেন। তাঁদের কোনও কাগজ নেই। এসআইআর শুনানিতে তাঁকে যেতে বলে বিএলও। বাড়িতে এসে নোটিসটা পর্যন্ত দিয়ে যায়নি। অন্য এক স্বপন বাগদিকে নোটিস দিয়েছিল। গতকাল তাঁর শুনানি ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “চুঁচুড়া মগড়া বিডিও অফিসে তাঁর কাগজ মিলছে না দেখে স্বপনকে ফোন করে বিএলও। এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জায়গায় বসবাস করলেও সেই অর্থে কোনও কাগজ নেই স্বপনের পরিবারের। সেই আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছে। দায় সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। আমরা বারবার অভিযোগ করছি এত তাড়াহুড়ো করে এসআইআর করতে গিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলছে নির্বাচন কমিশন। এই মৃত্যু তার আরও একটা উদাহরণ।” প্রসঙ্গত, এসআইআর নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে দিল্লিতে গিয়েছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দশজন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। এই আবহের মধ্যেই এবার ফের মৃত্যু বাংলায়।
