আরামবাগ: বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এবার পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের যোগ একেবারে এপার বাংলায়। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সংগঠনের যোগ পেল আরামবাগের মায়াপুরের সানা পাড়া এলাকায়। এই এলাকার বাসিন্দা সেখ সাইফুদ্দিন আলির ছেলে সেখ সাবিরউদ্দিন আলি এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এনআইএ-এর একটি টিম হঠাৎই সাবিরউদ্দিনের বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে একটি ল্যাপটপ, কিছু টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিসও দিয়ে আসা হয়।
নোটিস পেয়েই সাবিরউদ্দিন ও তাঁর বাবা সাইফুদ্দিন শুক্রবার সকালেই কলকাতার অফিসে হাজিরা দিতে চলে যান। এদিকে খবর চাউর হতেই এলাকায় রীতিমতো হইচই কাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এলাকার অনেক বাসিন্দাই বলছেন, সাবিরউদ্দিন মেধাবি। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিএড পাশও করেছেন। আচরণও ভাল। এলাকায় কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা করতে না। সেই তিনি কী করে এই ধরনের কাজে যুক্ত থাকতে পারেন তা ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না কেউ।
এদিকে সাবিরের বাড়ির আর্থিক অবস্থাও বিশেষ ভাল নয়। ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে মাটির বাড়ি। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সম্বল বলতে শুধুই কিছু জমি। এলাকার লোকজন জানাচ্ছেন, ধান চাষের উপর নির্ভর করেই মূলত চলে সংসার। সেই পরিবারের ছেলে কী করে এমন কাজ করতে পারে তা ভেবেই অবাক প্রতিবেশীরা। এদিকে এনআইএ আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা নাসিমা বেগম।
প্রসঙ্গত, পাকিস্থানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ভারতের বড় নেতা সেখ সুলতান সালাউদ্দিন আয়ুবি। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তাঁকে জিজ্ঞাদাবাদ করেই সাবিরউদ্দিনের নাম সামনে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।