Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suicide: ৩ দিন বাদে বিয়ে! ডিউটিতেই গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা পুলিশ কর্মীর, উঠছে তদন্তের দাবি

Suicide: বৃহস্পতিবার লকআপে নাইট ডিউটি ছিল হিমাংশুর। তারমধ্য়ে ভোরে ঘটে যায় এ ঘটনা। কিন্তু, কেন তিনি এমনটা করেছেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না সহকর্মীরাও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়।

Suicide: ৩ দিন বাদে বিয়ে! ডিউটিতেই গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা পুলিশ কর্মীর, উঠছে তদন্তের দাবি
কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2025 | 3:26 PM

আশিক ইনশান ও হীরক মুখোপাধ্যায়ের রিপোর্ট

চুঁচুড়া ও হুগলি: ৩ দিন পরেই বিয়ে। শুক্রবারই বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ থানার বড় আড়াল গ্রামে ফেরার কথা ছিল পুলিশ কর্মী হিমাংশু মাজির। কিন্তু তার আগে ছেলের খবরটা বাড়িতে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের পুলিশ লক আপে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ওই পুলিশ কর্মী। এদিন সকালেই এই খবরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় চুঁচুড়ায়। 

খবরটা জানার পরই পরিবারের লোকজন রওনা দেন চুঁচুড়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু, কেন এমন ঘটনা ঘটল তা বুঝেই উঠতে পারছেন না হিমাংশুর গ্রামের বাসিন্দারা। কর্মসূত্রে থাকতেন চন্দননগর পুলিশ লাইনের ব্যারাকে। পোস্টিং ছিল র‍্যাফে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার লকআপে নাইট ডিউটি ছিল হিমাংশুর। তারমধ্য়ে ভোরে ঘটে যায় এ ঘটনা। কিন্তু, কেন তিনি এমনটা করেছেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না সহকর্মীরাও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

সূত্রের খবর, আগামী ৩ মার্চ বিয়ের কথা হিমাংশুর। বিয়ের আয়োজনও পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল গ্রামের বাড়িতে। প্যান্ডেল তৈরির কাজও প্রায় শেষ। আসতে শুরু করেছিলেন আত্মীয়রা। স্বজনেরা। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ছোট থেকেই তাঁদের ছেলে শান্ত স্বভাবের। এলাকায় মেধাবী ছাত্র বলেও পরিচিতি ছিল। অত্যন্ত মিশুকে হিমাংশুর বন্ধুবান্ধবও কম নয়। কিন্তু সেই হিমাংশুই যে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারে তা ভাবতে পারছেন না গ্রামের বাসিন্দারা। ভোরে ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছাতেই হিমাংশুর বাবা-মা গাড়ি নিয়ে চুঁচুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। বাড়িতে বয়স্ক দাদু ও ঠাকুমা আছেন। এখন নাতির খবর কানে যায়নি তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কেন এমনটা করলেন হিমাংশু তা তদন্ত করে দেখা হোক। কোনও চাপের মুখে এই কাজ করতে বাধ্য় হলে তা সামনে আনা হোক।