Hooghly: রচনার উপর চাপ তৈরি? ইস্তফা দিলেন অসিত ঘনিষ্ঠ পরিচালন সমিতির সভাপতি

Hooghly: বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে সাংসদ তহবিলের টাকায় স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি হচ্ছে। গতকাল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাজ দেখতে স্কুলে হাজির হয়েছিলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদকে অভিযোগ জানান, বিধায়ক এসে স্মার্ট ক্লাসরুম নিয়ে দুর্ব্যবহার করেন। গালিগালাজ করেন।

Hooghly: রচনার উপর চাপ তৈরি? ইস্তফা দিলেন অসিত ঘনিষ্ঠ পরিচালন সমিতির সভাপতি
পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কী বললেন গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়? Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Aug 01, 2025 | 6:48 PM

চুঁচুড়া: তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার ও সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্বের জের। চুঁচুড়া বালিকা বাণীমন্দির স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়। তিনি চুঁচুড়া পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর। বিধায়ক অসিত মজুমদারের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। গৌরীকান্তর দাবি, বিধায়ককে বদনাম করতে মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। বিধায়ক অসিতও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি স্কুলের শিক্ষিকাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেননি বলে দাবি করলেন।

বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে সাংসদ তহবিলের টাকায় স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি হচ্ছে। গতকাল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাজ দেখতে স্কুলে হাজির হয়েছিলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদকে অভিযোগ জানান, বিধায়ক এসে স্মার্ট ক্লাসরুম নিয়ে দুর্ব্যবহার করেন। গালিগালাজ করেন।

সেই কথা শুনে সাংসদ বলেন, “আমি স্তম্ভিত! সাংসদ তহবিলের টাকায় স্মার্ট ক্লাসে আপত্তি জানাচ্ছেন একজন তৃণমূল বিধায়ক। তৃণমূল বিধায়ক শিক্ষিকাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন, এটা কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়।” এরপরই রচনা বলেছিলেন, “যাঁকে জানাবার, তাঁকে জানাব। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। ওঁর বয়স হয়েছে, মাথা কাজ করছে না।”

সাংসদের এই মন্তব্যের পর এদিন স্কুলে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “হুগলি ডিআই, মহকুমা শাসক এবং জেলাশাসককেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। গতকাল বিধায়ককে যেভাবে বদনাম করার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ ঘটনার দিন আমি বিধায়কের সঙ্গে উপস্থিত ছিলাম। বিধায়ক কারও সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করেননি। তিনি শুধু জানতে চেয়েছিলেন, স্কুল চলাকালীন যে মিস্ত্রিরা কাজ করছে, তাদের পরিচয়পত্র স্কুলের কাছে রাখা আছে কি না। কারণ, এটা মেয়েদের স্কুল। কিছু একটা বিপদ হয়ে গেলে তার দায় সরকারের উপর বর্তাবে। অভিভাবকরা বিধায়ককে ফোন করে জানিয়েছিলেন স্কুল চলাকালীন বাইরের লোক এসে স্কুলে কাজ করছে। তাই বিধায়ক এসেছিলেন স্কুলে। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ধরনের মন্তব্য করে থাকতে পারে।” বিধায়ক তাঁকে পদত্যাগের জন্য বলেছেন কি না, জানতে চাওয়ায় গৌরীকান্ত বলেন, ” এ বিষয়ে বিধায়ককে আমি কিছু জানাইনি। বিবেকের তাড়নায় আমি পদত্যাগ করলাম।

তাঁর বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “স্মার্ট ক্লাসের এমপি ল্যাডের কাজ হচ্ছে। স্কুলের পরিচালন সমিতিকে জানানো হয়নি। আমি পরিচালন সমিতির সভাপতি গৌরীকান্তকে জিজ্ঞাসা করি, সে কিছু জানে কি না। সে জানায়, জানে না। এটা মেয়েদের স্কুল। এখানে বাইরের চারটে ছেলে কাজ করছে। কোনও মেয়ের সঙ্গে কিছু করলে মুখ পুড়বে সরকারের। আমি যখন জানতে পারি, তখন কাজ আর একদিন বাকি। আমি পরিচালন সমিতির সদস্য। আমার মাথায় আছে ক্লাস কামাই আর মেয়েদের নিরাপত্তা।

এরপরই সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের কারও মনে হয়, আমি কোনও শিক্ষক শিক্ষিকাকে গালিগালাজ করতে পারি। আমি উচ্চস্বরে এটা বলেছি, যে আপনি এদের আই কার্ড না রেখে অন্যায় করেছেন। স্কুলে মিস্ত্রিদের থাকতে দিয়ে অন্যায় করেছেন। একটা মেয়ের যদি কোনও ক্ষতি হয়, তাতে সরকারের মুখ পড়বে। আপনার কী হবে? আপনার মাইনে এক টাকাও কমবে না। এটা বলা যদি আমার অন্যায় হয়, তাহলে আমি এই অন্যায় বারবার করব।

পরিচালন সমিতির সভাপতি ও অসিতের বক্তব্য নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হননি।