
হুগলি: আরজি করের এক বছর। জেলে রয়েছে ‘একমাত্র‘ অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দাবি, সঞ্জয় একা নয়। আরও দোষী রয়েছে। এবার সেই একই প্রসঙ্গ শোনা গেল হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। এদিন তিনি বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মুখ্যমন্ত্রী এটা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনার চেষ্টা করেছিলেন। উনি চেয়েছিলেন সিবিআই তদন্ত হোক। সব কিছু নিয়েই একটা বছর কেটে গেল।”
এক বছর কেটেছে। নতুন করে আন্দোলন-মিছিলও মাথা চাড়া দিয়েছে। দাবি এখনও একই, আরজি করের ঘটনার ‘বিচার চাই’। এদিন সেই আন্দোলন প্রসঙ্গেই সাংসদ বললেন, “সব কিছু নিয়ে আন্দোলন করলে তো হবে না। আমাদের আসল আসামীকে খুঁজে বের করতে হবে। অপরাধীরা শাস্তি পাক, এটাই আমরা চাই।”
সিবিআই আরজি কর মামলায় তদন্তের নামে সময় নষ্ট করেছে। শেষের দিকে পুলিশে ‘আস্থা’ প্রকাশ করে এই অভিযোগ করেছিলেন তিলোত্তমার মা-বাবা। এদিন সেই প্রসঙ্গ রচনা বলেন, “সময় নষ্ট বলে কিছু হয় না। এটা একটা বিচারাধীন ঘটনা। যারা এই কাজ করছে তাদের শাস্তি হোক এটাই চাই।”
এদিন দিনভর চলেছে মিছিল, অভিযান। শুক্রবার রাতদখলের মিছিলের পর শনিবার নবান্ন অভিযানে পথে নেমেছিলেন আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবা। তাদের দাবিও একই। সঞ্জয় একা নয় আরও অভিযুক্ত রয়েছে। এই অভিযানে নেমে রীতিমতো পুলিশের হাতে লাঠিপেটা হয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, “কলকাতা পুলিশ মেরেছে। শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। পিঠে লেগেছে। আমাকে ফেলেও দেওয়া হয়েছে। ওঁর বাবাকেও মেরেছে।” অবশ্য, তিলোত্তমার মায়ের এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে পুলিশ। ডিসি পোর্টে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “কেউই তিলোত্তমার মাকে মারেননি।”