Saraswati Puja: কোথায় পুজো, কোথায় অঞ্জলি! সেজেগুজে গিয়ে পড়ুয়ারা দেখল গেটই খোলেনি স্কুলের
Saraswati Puja: প্রাক্তন এক ছাত্রী সৌমী পালিত বলেন, 'প্রতি বছর স্কুলে ঠাকুর দেখতে আসি। এবছর এসে দেখি পুজোই হয়নি।
হুগলি: শিক্ষক, শিক্ষিকা, পড়ুয়া সবাই রয়েছে, তবুও সরস্বতী পুজো হল না। অবশেষে স্কুলের তালা ঝোলানো গেটের বাইরেই মূর্তি এনে পুজো করলেন অবিভাবকরা, অঞ্জলি দিল ছাত্রীরা। হুগলির খন্যানের সারদেশ্বরী কন্যা বিদ্যাপীঠ স্কুলে হল না সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja)। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে স্কুলের কেরানির বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছিল স্কুলের ছাত্রীরা। স্কুলের ছাত্রীরা সেই অভিযোগ তোলার পর পড়াশোনা বন্ধ করে আন্দোলনও শুরু হয়েছিল। তার মধ্যে আবার প্রধান শিক্ষিকা অসুস্থ। সে কারণেই পুজো হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে।
অভিভাবকেরা জানান, সন্তানদের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন সরস্বতী পুজোর দিন স্কুলের গেট তালা দিয়ে বন্ধ করা আছে। সরস্বতী পুজো হচ্ছে না এবার। বুধবার বিকেলে প্রতিমা আনা হলেও তা ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিভাবকেরা আরও জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অসুস্থ হওয়ায় তিনি স্কুলে আসতে পারেননি। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে শিক্ষিকাদের মধ্যেও কিছু গণ্ডগোল চলছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। সেই সব সমস্যার জেরেএ এদিন সরস্বতী পুজো করা হয়নি। প্রতিবছর স্কুলে পুজো হয়ে আসছে। রীতি ভাঙার কথা শুনে অভিভাবকরাই নিজেদের উদ্যোগে প্রতিমা, পুরোহিত এনে স্কুলের গেটের বাইরেই পুজোর আয়োজন করেন। সেখানেই অঞ্জলি দেয় পড়ুয়ারা।
প্রাক্তন এক ছাত্রী সৌমী পালিত বলেন, ‘প্রতি বছর স্কুলে ঠাকুর দেখতে আসি। এবছর এসে দেখি পুজোই হয়নি। খারাপ লাগছে। শুনলাম প্রধান শিক্ষিকা অসুস্থ।’ স্কুলের বর্তমান ছাত্রীরা বলছে, স্কুলে এসে অঞ্জলি দেবে বলেই ভেবেছিল তারা। কিন্তু এসে এদিন তারা দেখে গেটে বন্ধ। প্রধান শিক্ষিকা অসুস্থ থাকায় অন্যান্য শিক্ষিকারাও সেভাবে উদ্যোগ নেননি। মন খারাপ পড়ুয়াদেরও।
পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জীব ঘোষ বলেন, আপনাদের থেকে প্রথম জানতে পারলাম যে ওখানে সরস্বতী পুজো হয়নি। কী কারণে হয়নি, তার খোঁজ নিচ্ছি। প্রতি বছর হয়ে আসছে। এই বছর হঠাৎ কেন হল না, তা জানার চেষ্টা করছি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তাঁর কথায়, ছাত্রছাত্রীদের কাছে এই পুজো একটা বড় উৎসব। স্কুলের দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে, তাই বলে স্কুলের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাবে, এটা মানা যায় না। যাতে স্কুলে সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকে সে দিকে নজর রাখার কথা বলেন তিনি।