Shrirampur: ‘শুধু বলেছিলাম গান-বাজনা বন্ধ করুন’, তারপর যা ঘটল, ভয়ঙ্কর অভিযোগ শ্রীরামপুরে
Shrirampur: ঘটনার সময় শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও শ্রীরামপুর মৎস্য আড়তদার উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক ইন্দ্রনাথ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা।
শ্রীরামপুর: মাইক থামাতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার! এমনই অভিযোগ উঠল শ্রীরামপুরে। স্টেশন সংলগ্ন কুমিরজলা রোডে মাছের আড়তে গণেশ পুজো উপলক্ষে জলসা চলছিল। কুমিরজলারই বাসিন্দা ওই মহিলার অভিযোগ, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বৈদ্যবাটি থেকে ‘রাত দখল’ থেকে ফেরার সময় তিনি দেখেন শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছে মাছের আড়তের পাশে তারস্বরে মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান চলছে।
ওই মহিলা জানান, প্রথমে তিনি মাইক আস্তে করতে বলেন। কেউ না শোনায় যে শিল্পী গান করছিলেন তাঁর থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করার কথা বলতে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে কয়েকজন। গায়ে হাত দেওয়া হয়, ধাক্কা মারা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার আরও দাবি, তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।
ঘটনার সময় শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও শ্রীরামপুর মৎস্য আড়তদার উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক ইন্দ্রনাথ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা। রাতেই শ্রীরামপুর থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান মহিলা। তিনি বলেন, “আমি শুধু গানবাজনা বন্ধ করতে বলেছিলাম। আমার বাড়িতে অসুস্থ মা আছেন। আমি পেশায় একজন আইনজীবী। শ্রীরামপুর থানার অভিযোগ দায়ের করেছি।”
ইন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দাবি, মিথ্যা অভিযোগ করছেন ওই মহিলা। তিনি জানান, প্রতি বছর মাছের আড়তে গণেশ পুজো হয়। পুলিশের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠানও হয়। শ্লীলতাহানির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তিনি বলেন, “এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। যিনি এই অভিযোগ করছেন, তিনি আমার মেয়ের মতো। আমরা আড়তের সবাই ওকে বোন মনে করি। ওর হয়তো মনে হয়েছে যে এখন একটা শোকের আবহ চলছে। আমরাও সেটা মনে করি তাই অনুষ্ঠান শুরুর আগে আমরা ঘোষণাও করেছি এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষও করেছি।”