Hooghly: ডাক্তার দেখাতে এসে ফেলে পালিয়েছে ছেলে-বৌমা, জমাইষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ডানকুনিতে কেঁদে ভাসালেন অশীতিপর বৃদ্ধ

Hooghly: অশিতিপর বৃদ্ধকে ডানকুনিতে ফেলে পালালো ছেলে-বৌমা, শেষে এক সমাজসেবীর বাড়িতে ঠাঁই। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ।

Hooghly: ডাক্তার দেখাতে এসে ফেলে পালিয়েছে ছেলে-বৌমা, জমাইষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ডানকুনিতে কেঁদে ভাসালেন অশীতিপর বৃদ্ধ
নিখিল দাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2023 | 10:29 PM

ডানকুনি: জামাইষষ্ঠীর উৎসবমুখর দিনে অমানবিক ছবি দেখা গেল ডানকুনি (Dankuni) বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। সকাল থেকে শুধু এক কাপ চা পান করে ছেলে-বৌমার অপক্ষেয় ঠায় বসে রইলেন অশিতিপর বৃদ্ধ। কিন্তু, তাঁকে নিয়ে গেল না কেউই। ডানকুনিতে চোখের ডাক্তার (Doctor) দেখানোর নাম করে ডানকুনি বাসস্ট্যান্ডে বাবাকে ফেলে রেখে যাওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। অমানবিক এই ঘটনায় হতবাক এলাকার বাসিন্দারা। কোনও ছেলে নিজের বাবার সঙ্গে কী করে এ কাজ করতে পারে তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না কেউই।

সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধর নাম নিখিল দাস। বাড়ি বনগাঁ থানার দাস পাড়া এলাকায়। ছেলের নাম শংকর দাস। বৌমা ঝর্ণা দাস। এদিন ছেলে বৌমার সঙ্গে ডানকুনিতে আসেন ওই বৃদ্ধ। কথা ছিল চোখের ডাক্তার দেখানোর। কিন্তু সেই ডাক্তার দেখাতে এসেই আর বাড়ি ফেরা হল না বৃদ্ধের। বৃদ্ধর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে ডানকুনিতে চোখের ডাক্তার দেখাতে তাঁকে নিয়ে আসে তার ছেলে ও বৌমা। তারপরই ডানকুনি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁকে বসিয়ে রেখে চলে যায় তাঁরা। যদিও তাঁরা যে চলে গিয়েছে তা প্রথমে বুঝতে পারেননি ওই বৃদ্ধ। ভাবেন হয়তো কোনও কাজে গিয়েছে। ফিরে আসবে খানিক পরেই। যদিও দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পরেও ফেরেনি কেউই। 

দুুপুর গড়িয়ে বিকাল, বিকাল থেকে সন্ধ্যা হলেও দেখা মিলল না ছেলে-বৌমার। এদিকে খিদের জ্বালায় ততক্ষণে ছটফট করতে শুরু করে দিয়েছেন ওই বৃদ্ধ। এলাকার বাসিন্দাদের খুলে বলেছেন গোটা ঘটনা। ক্যামেরার মুখোমুখো হতেই কেঁদেই ফেললেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতেই বললেন, “চোখ দেখাতে নিয়ে এসেছিল। আর বাড়ি নিয়ে যায়নি। ফেলে চলে গিয়েছে আমার ছেলে। সকাল থেকে এই অবস্থাতেই ওখানে বসেছিলাম। কেউ খেতেও দেয়নি।”

শেষে নাম প্রকাশে আনিচ্ছুক এলাকার এক বিশিষ্ট সমাজসেবী ওই বৃদ্ধকে নিজের বাড়ি নিয়ে যান। যোগাযোগ করেন থানা। ডানকুনি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই কথা বলেছে ওই বৃদ্ধের সঙ্গে। তাঁর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ওই বৃদ্ধ এলাকার ওই সমাজসেবীর বাড়িতেই রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।