Hooghly: কার্গিলের পাহাড়ি রাস্তায় সেনাদের পৌঁছে দিতেন হুগলির উমাপদ গুঁই, নিজের চোখে দেখেছিলেন পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ, আজ বলছেন…

Hooghly: দেশের সেবায় একাধিক পদকও পেয়েছিলেন। আজও যদি প্রয়োজন হয় দেশের জন্য লড়াইয়ের ময়দানে নামতে প্রস্তুত তিনি।

Hooghly: কার্গিলের পাহাড়ি রাস্তায় সেনাদের পৌঁছে দিতেন হুগলির উমাপদ গুঁই, নিজের চোখে দেখেছিলেন পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ, আজ বলছেন...
হুগলির উমাপদ গুঁই Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 09, 2025 | 1:40 PM

হুগলি: সীমান্তে আবার যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জঙ্গি হামলায় পাকিস্তান যে রক্তের খেলা শুরু করেছে, জঙ্গিদের মেরে তারই জবাব দিয়েছে ভারত। আর তারপর ভারতের সেনাঘাঁটি ও সাধারণ মানুষের বসতি লক্ষ্য করে আক্রমণ শুরু করেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে ২৬ বছর আগের সেই সব কথা মনে পড়ে যাচ্ছে হুগলির উমাপদ গুঁইয়ের।

কার্গিলে যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল, তখন কার্গিলে কর্তব্য়রত ছিলেন উমাপদ গুঁই। ২১ বছর সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তিনি মনে করেন, পাকিস্তানকে খতম করতে ভারতের বেশি সময় লাগবে না।

হুগলির বৈঁচি স্টেশন রোডের বাসিন্দা উমাপদ গুঁই। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬২ বছর। ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ি চালাতেন তিনি। দেশের সেবায় একাধিক পদকও পেয়েছিলেন। আজও যদি প্রয়োজন হয় দেশের জন্য লড়াইয়ের ময়দানে নামতে প্রস্তুত তিনি।

কার্গিল যুদ্ধের সময় কার্গিলেই পোস্টিং ছিল তাঁর। যুদ্ধে সেনাদের নিয়ে যাওয়া, তাদের রসদ পৌঁছে দিয়েছেন পাহাড়ি পথে। সেই সময় দেখেছেন টাইগার হিল থেকে কীভাবে পাক গোলা বর্ষণ হয়েছে। ভারতীয় সেনা কীভাবে তার জবাব দিয়েছে, সেটাও দেখেছেন নিজের চোখে। শহিদের রক্তে কার্গিল যুদ্ধে জয়লাভ করে ভারত। আজও তাঁর মনে পড়ে টাইগার হিলের পাথরে লেখা বীর সেনাদের নাম।

উমাপদ বাবু বলেন, “আমাকে যদি আবার ডাকে, আমি পা বাড়িয়ে আছি যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমাদের মতো প্রাক্তনদের প্রয়োজন নেই ভারতের। এখন সেনা বল অনেক বেশি। প্রত্যেক ভারতবাসীর উচিত দেশের সঙ্গে থাকা।” তিনি মনে করেন, সম্মুখ সমরে এলে পাকিস্তান চারদিনও টিকবে না। নাম-নিশান মুছে যাবে পাকিস্তানের।